পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পরিস্থিতি লাগাতার কাশ্মীর হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। মানুষ খুন, অশান্তি এখন পশ্চিমবঙ্গের নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে ১৪০০ গুন্ডা পুরো এলাকায় তান্ডব চালায়। যাতে ৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হয় এবং অনেক নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে লাগাতার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তীব্র হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সর্বত্র রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ডায়মন্ড হারবারের পর সন্দেশ খালি থেকে হিন্দু পলায়নের ঘটনা সামনে এসেছে।
সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যপালকে তলব করেছিল কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রের কাচের রিপোর্ট জমা দিতে দিল্লী উড়ে গেছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্য সরকার চাইলেই এমন হিংসাকে আটকাতে পারে কিন্তু পুরো পরিকল্পনা মাফিক ঘটনাগুলো ঘটিত হচ্ছে। অমিত শাহের পর মিটিং হওয়ার পর কেশরীনাথ ত্রিপাঠি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রশ্নকে এড়িয়ে গেছিলেন। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার যা জানানো উচিত ছিল তা জানিয়ে দিয়েছি এবার সিদ্ধান্তগ্রহণ উনাদের হাতে।
তবে সেই সময় সাংবাদিকদের প্ৰশ্ন এড়িয়ে গেলেও রাজ্যপাল ইন্ডিয়া টুডে নামক এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বড় মন্তব্য করেছেন। রাজ্যপাল বলেছেন এইভাবে অবস্থার অবনতি হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। রাজ্যপাল বলেন, আমি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে বৈঠকে কোনো আলোচনা করিনি কিন্তু যদি পরিস্থিতি বিগড়ে যায় তবে অবশ্যই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। জানিয়ে দি, সন্দেশখালির পর আবার হাওড়াতে জয় শ্রী রাম বলার জন্য মানুষ খুন হয়েছে। এমত অবস্থায় রাজ্যের অবস্থা অবনতির দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই রাজ্যপালের মত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেও অবাক হবার কিছু নেই।