কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাঞ্জাবের বিজেপি নেতাদের

আগামীকাল ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির। তার আগের দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পাঞ্জাবের একাধিক বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তাঁরা।

বিজেপি নেতা সুরজিৎ কুমার জ্ঞানী, হরজিৎ সিং গ্রেওয়াল ও বিজয় সাম্পলা এদিন শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সুরজিৎ কুমার জ্ঞানী। তিনি ও হরজিৎ সিং গ্রেওয়াল দু’জনেই বিজেপির কিষাণ কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ছিলেন যাঁরা কৃষি বিল পাশ হওয়ার আগে কৃষকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে সিন্ধু দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। এইসব নিয়ে আলোচনার জন্যই গত মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সামনে হরজিৎ সিং গ্রেওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু জানেন। সব সমস্যার সমাধান হবে। ভাল কিছু ভবে। কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না, কিন্তু ভালই কিছু হবে। যখন ভাল কিছুর জন্ম হয় তখন সেটা নষ্ট হওয়ার ভয় তো থাকেই।”

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে কৃষক বিক্ষোভ হচ্ছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন পাঞ্জাবের কৃষকরাই। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংও। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছেন, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই এই নতুন কৃষি আইন নিয়ে কিছু ভাবতে।

গত মাসে পাঞ্জাবে বিক্ষোভ চলাকালীন রিলায়েন্স জিও-র অনেক ফোনের টাওয়ার ভেঙে দেয় উত্তেজিত জনতা। সেই প্রসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন অমরেন্দ্র সিং। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই আঙুল তোলে বিজেপি। তারা বলে রাজ্যের কৃষকদের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

অবশ্য বিজেপির এই সমালোচনার জবাবে মুখ খোলেন অমরেন্দ্র সিংও। তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি না করে বিজেপির উচিত কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়া। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারের খারাপ আইন নিয়ে আসার খেসারত তাঁর সরকারকে দিতে হচ্ছে।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যেই একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাদের। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কৃষকদের দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষকদের দিতে হবে। এই নিয়ে একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি কৃষকদের সঙ্গে অমিত শাহও বৈঠক করেছেন। কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এই অবস্থায় আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকরা। তার মাঝেই এবার অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন পাঞ্জাবের বিজেপি নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.