নোটবন্দী কার্যকর হয়নি বলে বিরোধীরা যতই সোচ্চার হন, আয়কর দফতর তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আপাত ব্যর্থতার বিভিন্ন কারন উঠে আসছে তাদের অনুসন্ধানে। নোটবন্দি (Demonetization) ভেস্তে দিতে যে সব অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়েছিল বা সক্রিয় রয়েছে তার মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে ধর্মীয় বাবাদের আশ্রমও আছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল এক শ্রেনীর স্বর্ণব্যবসায়ীর নাম। দেশের স্বর্ণব্যবসায়ীদের একটি অংশের বিপুল পরিমান কালো টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবী করেছে আয়কর দফতর। কিছু কিছু ব্যবসায়ী আগের বছরগুলির তুলনায় নোটবন্দীর বছরে হাজার গুণ বেশি টাকা জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন আয়কর দফতের আধিকারিকরা।এই টাকা কোথা থেকে এল সেটা যেমন বলতে পারেন নি ব্যবসায়ীরা তেমনি এর জন্য জমা আদৌ কোনও আয়কর দেওয়া হয়েছিল কি না তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে যথেষ্ট।

সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যবসায়ীদের কালো টাকা নিয়ে সাফাই দেওয়ার ধরণটাও এক বলে জানিয়েছেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের এক আধিকারিক।প্রত্যেকেরই দাবী টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যবসার অঙ্গ হিসাবে। এই টাকা পাওয়া গিয়েছে ক্রেতাদের থেকে অ্যাডভান্স হিসাবে। এছাড়া বেশ কিছু টাকা বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা নিয়েছেন ঋণ হিসাবে। যদিও নিজেদের কথার সমর্থনে কোনও তথ্যই তাঁরা দেখাতে পারেন নি। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গেলে আরও বেশ কিছু কালো টাকার হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী আয়কর আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.