NRS কাণ্ডের ৬০ ঘণ্টা পর আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আজ SSKM এর সফরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে কথা বলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের সাথে। তাঁদের সমস্ত অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে মেইন বিল্ডিংয়ের দিকে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে দেখা মাত্রই ‘মুখ্যমন্ত্রী হায় হায় স্লোগান” দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘”ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও এমন কর্মবিরতি একদমই কাম্য নয়। হাসপাতালে বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। পুলিশকে এর ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। যারা হাসপাতালে গন্ডগোল করছে, তাদের হাসপাতাল ছাড়তে হবে। আজকের মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে।” চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে এক রোগীর মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে। রোগীর পরিবারের তরফ থেকে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল চিকিৎসা করে রোগীকে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই দুই দলের মধ্যে শুরু হয় ধুন্ধুমার।
রোগীর পরিবারের আক্রমণে মাথা গুরুতর চোট লাগে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এক ট্রাক বোঝাই লোক এনে জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে হামলা চালায় রোগীর পরিবার। মৃতের পরিবারের আক্রমণে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এরপর এই হামলার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা করে হাসপাতালের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তারেরা।
তাঁদের সমর্থনে নামেন রাজ্যের সমস্ত ডাক্তার। বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের স্বাস্থ ব্যাবস্থা একদম থমকে যায়। আরেকদিকে নিরাপত্তা এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরেকদিকে হাসপাতালের ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবার।