এনআরএস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই সময়েই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে হস্টেল থেকে বার করে দেওয়া হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। আর এতেই যেন ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে গেল। এসমা (এসেনশিয়াল সার্ভিস মেন্টেনেন্স অ্যাক্ট) জারির হুঁশিয়ারির পর গণইস্তফার ভাবনা জুনিয়র ডাক্তারদের। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের আট জুনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর।
যদিও এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বৈঠকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সন্ধে সাতটার সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরোটা জানানো হবে।
সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিৎসকদের কাজ সেবা করা। স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কেউ ইচ্ছে করে এ সব করে না। ওদের সঙ্গে সিপি (পুলিশ কমিশনার) বসল। চন্দ্রিমা গিয়ে হাসপাতালে ওই ছেলেটাকে দেখে এল। চিকিত্সার সব খরচ সরকার নিল। এরপরও… এত বড় ঔদ্ধত্য ওদের। ৪ দিন ধরে আবেদন করছি। কানই দিচ্ছে না।”
মুখ্যমন্ত্রীর ওই কথার পর পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন , “বিষমদে মারা গেলে উনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানা দিলে উনি ধর্নায় বসতে পারেন, আর হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের দুর্দশার হাল দেখতে পারেন না! মঙ্গলবার কলেজস্ট্রিটে বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করতে এলেন, আর আধ কিলোমিটার দূরে এনআরএস-এ আসতে পারলেন না!”
এনআরএস-সহ গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার রাজভবনে যাচ্ছে সঙ্ঘপরিবারের ছাত্র শাখা এবিভিপি-র একটি প্রতিনিধি দলও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবে।