হাওড়া কাণ্ড নিয়ে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বার কাউন্সিল। সারা রাজ্যের আদালত স্তব্ধ গত বৃহস্পতিবার থেকে। এর মধ্যেই সেই কর্মবিরতি ভেঙে সোমবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে একটি মামলা করায় কলকাতা হাইকোর্টের বার কাউন্সিল শোকজ করল আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে।
সোমবার রাজ্যে চতুর্থ দফায় বীরভূমের দুটি আসনেও ভোট হয়। বিরোধীদের দাবি ছিলই। তার উপর যোগ হয়েছিল ভোট কর্মীদের দাবি। অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। রবিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন তাতেই মান্যতা দিয়ে দেয়। নজরবন্দি করার ঘোষণা করে কমিশন। নিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। কমিশনের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূলের তরফে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা করেন বৈশ্বানর। বিচারপতি কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ না দিয়ে কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে মামলা তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেন।
কিন্তু কর্মবিরতি ভেঙে মামলা করার জন্য এ দিন শোকজ করল বার কাউন্সিল। কাউন্সিলের কার্যকরি কমিটির সদস্য ইন্দ্রনীল বসু জানিয়েছেন বৈশ্বানরকে বলা হয়েছে, কাউন্সিলের সদস্য হয়েও তিনি কেন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ভাঙলেন তা ব্যাখ্যা করে জানাতে হবে। বৈশ্বানর বলেন, “আমি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু হাতে কোনও কাগজ পাইনি।” প্রসঙ্গত, সোমবার বৈঠকে বসেছিল বার কাউন্সিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২ মে পর্যন্ত চলবে কর্মবিরতি।