করোনার টিকার উপর থেকে পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) না তুললেও জিএসটি কমল করোনা চিকিৎসায়
প্রয়োজনীয় একগুচ্ছ সরঞ্জামের । শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪তম বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। শুধু তাই নয় জিএসটি কমল রেমডেসিভিরেরও । এর
ফলে এবার আরও সস্তা হতে চলেছে করোনার চিকিৎসা ।
শনিবার করোনা টিকা এবং সরঞ্জামের
উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া নিয়ে বৈঠক ছিল। বৈঠক মিটতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান,
টিকা কেনার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। তাই এ ক্ষেত্রে জিএসটি
তুলে নেওয়ার যুক্তি খাটে না। তবে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের উপর জিএসটি
কমানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন, দেহের তাপমাত্রা মাপার সরঞ্জামের
উপর ৫ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে। অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি নেওয়া হবে ১২ শতাংশ। তবে
আরটিপিসিআর যন্ত্র, আরএনএ এক্সট্র্যাকশন যন্ত্র, জিনোম সিকোয়েন্সিং যন্ত্রের উপর আগের
মতোই ১৮ শতাংশ জিএসটি বহাল থাকবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং কিটের উপর আগের মতোই ১২ শতাংশ
জিএসটি নেওয়া হবে।
পালস অক্সিমিটারের উপর থেকেও
জিএসটি কমিয়ে ১২ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর এ
বার থেকে ১৮ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে।
কোভিড পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়
সরঞ্জাম তৈরির কাঁচামালের উপর জিএসটি-ও একচুল কমানো হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে
কোভিড পরীক্ষার কিটের উপর ১২ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে। মেডিক্যাল গ্রেড
অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, এবং অক্সিজেন জেনারেটরের উপর জিএসটি-ও ১২ শতাংশ থেকে
কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ভেন্টিলেটর, ভেন্টিলেটর মাস্ক,
বাইপ্যাপ যন্ত্রের উপরও ৫ শতাংশ জিএসটি থাকছে।
করোনার চিকিৎসা ব্যবহৃত রেমডেসিভিরের
উপর জিএসটি কমিয়ে ১২ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। হেপারিনের উপরও ১২ শতাংশের পরিবর্তে ৫
শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে। করোনার চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে যে ওষুধের
সুপারিশ করবে, সে সবের উপরই ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে।
এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের
নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় ৪৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। বৈঠকে নির্মলা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
অনুরাগ ঠাকুর-সহ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অর্থমন্ত্রী, উচ্চআধিকারিকরা। বৈঠকে
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য।