রথের দিন ঘরেই থাকেন তাঁরা। পুজোপাঠ সবই হয়, কিন্তু মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে রথে সওয়ার হন না।
শ্রী শ্রী মদনগোপাল জিউ, শ্রী শ্রী রাধালাল জিউ রথে ওঠেন উল্টোরথে। তাঁদের নিয়ে গোটা রাত জাগে বিষ্ণুপুর শহর। রথে সওয়ার শ্রী শ্রী মদনগোপাল জিউ, শ্রী শ্রী রাধালাল জিউ মন্দিরে ফেরেন পরের দিন ভোর হলে। সেই মল্ল রাজাদের আমল থেকে চলে আসছে এমনটাই।
উল্টো রথের শোভাযাত্রা ঘিরে প্রতিবার দু’ভাগ হয়ে যায় ঐতিহ্যের শহর বিষ্ণুপুর। মাধবগঞ্জের এগারো পাড়ার শ্রীশ্রী মদনগোপাল জিউ এর সঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জের আটপাড়ার শ্রী শ্রী রাধালাল জিউ এর রথ নিয়ে শহর জুড়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজ সকাল থেকেই তৎপরতা তুঙ্গে ওঠে। সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা বের হওয়ার আগে দিনভর চলল পুজো পাঠ। তারই সঙ্গে দেখনদারিতে টেক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি।
এগারো পাড়ার রথযাত্রা কমিটির কর্মকর্তা গৌতম গোস্বামী বলেন, মল্ল রাজাদের আমল থেকেই বিষ্ণুপুরের রথের এই ধারা। এগারো পাড়া আর আট পাড়ার রথের এই প্রতিযোগীতাও সুপ্রাচীন। আমরা এই ধারা ধরে রেখেছিমাত্র।
আটপাড়ার রথযাত্রা কমিটির সদস্য রবিলোচন দে বলেন, বাহারি আলো আর বাদ্যযন্ত্র, প্রতিযোগীতা চলে কেবল এ দুটি নিয়েই। তবে সেই প্রতিযোগীতা হয় একেবারে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশেই। বহু বছর ধরে চলে আসছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি বিষ্ণুপুরের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে।
রথের ঠিক আট দিনের মাথায় উল্টোরথের এই শোভাযাত্রা দেখতে লোক থইথই বিষ্ণুপুর শহর। আজ রাতভর উৎসব। তৈরি প্রশাসনও।