যদিও এবার বর্ষা আসতে দেরি করছে তবুও এই সময় ঝুঁকি কমাতে কয়েকটি বীমা করে নেওয়া উচিত৷ কারণ একদিকে অতিবৃষ্টির ফলে রাস্তার জল জমার জন্য নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়৷ আবার এই সময় জলবাহিত কিছু রোগ হতে দেখা যায়৷ জল জমে গর্ত পড়ে বিপত্তি ঘটতে পারে৷

মোটর বীমা: প্রথমত করে রাখা দরকার৷ এটা ঠিক তৃতীয় পক্ষ ( থার্ড পার্টি) দায় মেটানোর জন্য তা বাধ্যতামূলক ৷ কিন্তু তা ছাড়াও আরও কিছু ঝুঁকি এড়াতে বিমার পরিধি বাড়িয়ে নেওয়া দরকার৷ বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমার দরুন গাড়ির ইঞ্জিনে জল ঢুকে ক্ষতি করতে পারে যা সাধারণত বিমা করা থাকে না৷ লক্ষ্য রাখবেন বিমা করার সময় যাতে এই ধরনের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় তার দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত৷

স্বাস্থ্য বীমা: দ্বিতীয়ত যে কোনও মরশুমের জন্যই স্বাস্থ্য বীমা করে রাখা উচিত ৷ তার উপর এই বর্ষায় নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়৷ সেক্ষেত্রে রোগ অনুসারে যাতে বিমা পাওয়া যায় সেই মতো পলিসি করে রাখা ভাল৷

দুর্ঘটনা বীমা: এই বীমাও করা দরকার৷ এটা ঠিক দুর্ঘটনা যে কোনও সময়েই হতে পারে ৷ তবে বর্ষাকালে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷ কারণ তখনই রাস্তায় জল জমায় রাস্তার গর্ত খানা খন্দ লক্ষ্য করা যায় না৷ তার উপর বৃষ্টির জন্য রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়৷ এই দুর্ঘটনা বিমায় ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় মৃত্যু, চিরপঙ্গু হলে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক পঙ্গু হলেও বিমার টাকা মেলে৷ তাছাড়া এমন দুর্ঘটনা বিমাও রয়েছে যাতে দুর্ঘটনার জন্য চিকিৎসার খরচ না দিলেও আয় বন্ধ হয়েছে বলেও বীমার টাকা মেলে৷

গৃহবীমা: এই বীমা করে নেওয়া উচিত৷ বর্ষার সময় বন্যাজনিত কারণে বাড়ির বড় রকম ক্ষতি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে গৃহবিমা করা থাকলে বড় ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়৷ বর্তমানে এদেশের গৃহ বিমা করার প্রবণতা খুবই কম কিন্তু তা করে রাখলে বড় ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচা যাবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.