নদী বাঁচাতে গিয়েছিলেন ওঁরা। সেই নদী বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন একদল পরিবেশপ্রেমী। অভিযোগ, রীতিমত মারমুখী হয়ে উঠেছিল কিছু পরিবেশ বিরোধী। এমনই অভিযোগ তাপস দাস, কল্লোল রায়দের।
ঘটনা ৩ ফেব্রুয়ারীর। ‘নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও’ এর উদ্যোগে ‘ সঙ্কোশ থেকে পদ্মা ‘ সাইকেল যাত্রা শুরু হয়েছিল। উদ্দেশ্য, নদীর দূষণের বিরুদ্ধে, রাজ্য তথা দেশের ছোট নদীগুলি না বাঁচালে যে বড় নদী গুলোর প্রবহমানতা থাকবে না তা দেখিয়ে দিতে। নদীগুলিকে তার প্রাকৃতিক রূপ ফিরিয়ে দিতে এই সাইকেল যাত্রা ছিল তাঁদের। হাতে দিন পনেরো সময় নিয়ে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল প্রকৃতি প্রেমীরা।
দ্বিতীয় দিনে যাত্রাকালীন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার বারবিশার কাছে সঙ্কোশ নদীর কাছে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁরা দেখতে পান যে বালি মাফিয়ারা নদীর উপর নামিয়ে দিয়েছে বিশাল বিশাল গাড়ি।
তোলা হচ্ছে বালি এবং পাথর। ঘটনা দেখে বিস্মিত সদস্যরা ছবি তুলতে শুরু করে দেন। প্রায় ১০০ পাথর উত্তোলনকারী গাড়ি নদীর বুক শূন্য করে পাথরের পাহাড় বানিয়ে চলেছে । সঙ্গে সঙ্গে মাফিয়ারা ঘিরে ধরে তাঁদের।
তাঁদেরই এক সঙ্গী সৌরভ দোয়ারি জানিয়েছেন , ‘আমি এই সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছি। নদী বাঁচানোই লক্ষ্য। আমরা জানতে পেরেছি সাইকেল র্যালি করে যখন ওঁরা সঙ্কোশ নদীর কাছে পৌঁছে যান তখন বালি মাফিয়াদের বে-আইনি কাজের বিরোধীতা করতেই কুড়ুল, লাঠি, বাটাম এইসব নিয়ে তেড়ে আসে। বেশ কয়েকজনকে মারধরও করে এবং কয়েকটি ফোন নিয়ে নদীর জলে ফেলে দেওইয়া হয়।’ সৌরভ আরও জানিয়েছেন, ‘ওই স্থানে দেখা যায় প্রকাশ্যে নদীর উপর এই অত্যাচার চালানো হচ্ছে। সেটা দেখে ফেলাতেই এমন বর্বরোচিত আক্রমন বলে আমি জানতে পেরেছি।’ ঘটনা যখন চরমে পৌঁছে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ এসে তাঁদের রক্ষা করে।