পুর প্রশাসক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

পুর প্রশাসক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের রাখা যাবে না। ভোটের ঠিক আগেই এই নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন। এই পদে সরকারি অফিসারদের নিয়োগ করার কথাও জানিয়েছে তারা। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া চালু করার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটের প্রাক্কালে এই মুহূর্তে রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরো প্রশাসক মণ্ডলীর একাধিক কর্তাব্যক্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। শুধু কলকাতা নয়, এমন চিত্র রাজ্যজুড়ে। কিন্তু আদর্শ আচরণবিধি চলার কারণে তাঁরা দৈনন্দিন কাজে অংশ নিতে পারবেন না। নির্দেশ কতটা জারি হচ্ছে তা দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিশনের নির্দেশ বলবৎ হয়েছে কিনা তা দেখবে এই কমিটি। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে ২২ মার্চের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে ও এ নিয়ে কমিশনের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। বিজেপি সহ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল পুর কমিশনের একাধিক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু এমনটা হওয়া উটিত নয়। এই পদে সরকারি অফিসারদের নিয়োগ করা উচিত। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযোগ জানায় নির্বাচন কমিশন।

এবার করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন হতে চলেছে রাজ্যে। তাই করোনা বিধি সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কী না সেই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে প্রচার, ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কাজে করোনা বিধি মানা হচ্ছে কী না সেটা নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন চাইছে করোনা বিধি যেন সঠিকভাবে মেনে চলেই নির্বাচনের কাজ হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত বিশেষ পর্যবেক্ষকরা নজরদারি চালাচ্ছেন। আধা সেনার গতিবিধি কেন সর্বত্র নজরে আসছে না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যাতে আধা সেনার গতিবিধি দেখতে পান সেভাবেই আধা সেনাদের রুট মার্চ পুলিশের তত্ত্বাবধানে চালাতে হবে। বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নজরের বাইরে কিছু হলেই যে সরব হবেন সেটা বুঝিয়ে দেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.