দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। নিত্যযাত্রীদের গন্তব্য পৌঁছে একমাত্র ভরসা ছিল তাই বাস। করোনা সংক্রমণের ভয় নিয়েই বাসে চড়তে হচ্ছে মানুষকে। তবে এবার জারি বিশেষ নির্দেশ। বাসে যাতায়াত করতে গেলে মানতেই হবে এই নিয়মগুলি।
নির্দেশ:
১. অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে অনলাইনে টিকিট বুকিং করুন
২. নিজের ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন
৩. যাত্রা শুরু করার আগে, শরীরের তাপমাত্রার দিকে নজর দিন। প্রয়োজন হলে মাপুন
৪. বাসের ভিতরে যাত্রাকালীন মাস্ক পরে থাকা বাঞ্ছনীয়। নাক যাতে অবশ্যই ছাকা থাকে, তা লক্ষ্য রাখুন।
৫. হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন।
৬. বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৭. রুমাল বা টিস্যু না থাকলে কনুইয়ের কাছে মুখ নিয়ে হাঁচুন বা কাশুন।
৮. নিজের কম্বল বা জলের বোতল সঙ্গে রাখবেন। কারোর থেকে এগুলি নিয়ে ব্যবহার না করাই ভালো
কী কী করবেন না:
১. শরীর যদি অসুস্থ হয়, দ্রুত ব্যবস্থা নিন। পারলে যাত্রা বাতিল করুন
২. বাসে উঠে মুখ, চোখ, নাকে হাত দেবেন না
৩. বাসের মধ্যে মাস্ক খুলে ফেলবেন না।
৪. বাসে ওঠার সময় হ্যান্ডেল, সুইচ, নব, হাতলে হাত না রাখাই বাঞ্ছনীয়।
৫. বাসের জানলা দিয়ে ব্যবহৃত টিস্যু, মাস্ক, গ্লাভস ছুঁড়ে বাইরে ফেলবেন না।
এদিকে, মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন যে তাঁরা একবারও বলেননি যে দেশের সমস্ত মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিনি এদিন সাফ জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য পাওয়ার পরই টিকাকরণ শুরু হবে। এক্ষেত্রে কাদের টিকাকরণ হবে সেটা স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঠিক করবে।
প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে এখন ভারতেই সব থেকে কম করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। এদিন এমনটাই দাবি করেছেন আইএমসিআর – এর ডিজি বলরাম ভার্গব। তিনি একই সুরে জানিয়েছেন, কখনোই দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।। ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাতেও ভ্যাকসিন – এর সময়সীমা প্রভাবিত হবে না বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আগে ইঙ্গিত মিলেছিল যে, সামনের বছর ফেব্রুয়ারি – মার্চ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। তবে সেইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, সবার প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।