মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের জমানায় বাংলার হাল সারা দেশে তুলে ধরতে নতুন কৌশল নিল বিজেপি। লোকসভার সাত, রাজ্যসভার এক- বাংলার আট সাংসদকে নিয়ে টিম গড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারাই ঘুরে ঘুরে গোটা দেশের বিজেপি সাংসদদের সামনে তুলে ধরবেন বাংলার আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার দেশের ৪০ জন বিজেপি সাংসদকে নিয়ে প্রাতরাশ সারেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, মালদহ উত্তরের খগেন মুর্মু এবং বাঁকুড়ার সুভাষ সরকার। বিজেপি রাজ্যসভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুস্তিকা, লিফলেট সব তৈরি হয়েছে। আমরা আটজন সাংসদ চারটি দলে ভাগ হয়ে দেশের সমস্ত বিজেপি সাংসদদের কাছে বাংলার অবস্থা তুলে ধরব। তারপর তাঁরা সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সামনে এ রাজ্যের কথা তুলে ধরবেন।” সুভাষ সরকার-লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ-খগেন মুর্মু, দেবশ্রী চৌধুরী-জ্যোতির্ময় মাহাতো এবং স্বপন দাশগুপ্ত-বাবুল সুপ্রিয় —এই ভাবে আট সাংসদের চারটি দল গড়ে দিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, সামনেই দুর্গাপুজো। এই উৎসবকে জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে প্রত্যেক সাংসদকে ব্যবহার করতে হবে। নিজের নিজের সংসদ এলাকার স্কুল, অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের কাজে প্রতিদিন যুক্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তিন সাংসদকে মোদী এ-ও বলেছেন, যেখানে দল হেরেছে, সেখানেও মানুষের সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করতে হবে।
সন্দেহ নেই একুশের বিধানসভাকে মাথায় রেখেই মোদীর এই স্ট্র্যাটেজি। পর্যবেক্ষকদের মতে, যে কারণে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা সংসদে কাটমানি, বাংলার হিংসা নিয়ে সরব হচ্ছেন, সে কারণেই মোদীর এই পরিকল্পনা। বাংলার ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলার পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী কম বোঝেন। আর উনি বলছেন, বাংলাকে নিয়ে সারা দেশে বদনাম করতে। বিজেপি বাংলা বিরোধী। তাই ওরা শুধু বাংলার বদনাম করে।”