দুষ্কৃতী ধরতে পুলিশি অভিযান ঘিরে নতুন করে অশান্তি ছড়াল চুঁচুড়ার রবীন্দ্র নগরে। শনিবার দুপুরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী যায় এলাকার ‘দাদা’ টোটোন বিশ্বাসকে ধরতে। এরপরই শুরু হয় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। এলাকার মানুষের দাবি, পুলিশ সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আটকে দেওয়া হয় পুলিশকে। নামে র্যাফ। জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে রক্ত ঝরে পুলিশেরও। বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, টোটোন-সহ এলাকার বিভিন্ন দাগী অপরাধীদের বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে এলাকা ছাড়া টোটোন। তার বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে পুলিশ। টোটন এলাকায় ঢুকেছে খবর পেয়েই শুক্রবার বেশি রাতে অভিযান চালায় বিশাল পুলিশবাহিনী। নেতৃত্বে ছিলেন চন্দননগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার যশপ্রীত সিং। কিন্তু জনতার বাধার মুখে আটকে যেতে হয় পুলিশকে। চলে গোলাগুলি। রবীন্দ্রনগর এলাকার মানুষের অভিযোগ, গুলি চালিয়েছে পুলিশ। পাল্টা পুলিশেরব দাবি, এলাকার মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে গুলি চালিয়েছে টোটনের বাহিনী।
শনিবার সকাল হতেই বনধের চেহারা নেয় জেলা সদরের কোদালিয়া এক ও দু’নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা। স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। অফিসযাত্রীরা আসতে পারছেন না স্টেশনের দিকে। শুনশান এলাকা। বন্ধ সমস্ত বাজার এবং মাছের আড়ত। পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এ দিন সকালে বিরাট মিছিল করে রবীন্দ্রনগরের সাধারণ মানুষ।
যদিও রবীন্দ্র নগর এলাকার মানুষের অভিযোগ, শান্ত এলাকাকে অশান্ত করছে পুলিশ। মদন মজুমদার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা খেটে খাই। আমরা কি ক্রিমিনাল নাকি যে পুলিশ এখানে অত্যাচার করছে?” পুলিশের বক্তব্য, একাধিক অপরাধে নাম রয়েছে টোটোনের। সে কারণেই এই তল্লাশি।
রবীন্দ্রনগরের উত্তেজনা প্রভাব ফেলেছে চুঁচুড়া এবং হুগলি স্টেশন রোডেও। ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। রাস্তায় বেরোতে পারছেন না। বন্ধ বাস। এ দিকে খাদিনা মোড়, ও দিকে ব্যান্ডেল মোড়ের পর গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ। এখন দেখার কখন স্বাভাবিক হয় জেলা সদরের পরিস্থিতি। নাকি উত্তেজনা আরও বাড়ে।