গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলেও একটি বিশেষ ঘটনায় মন অত্যন্ত ভারাক্রান্ত।
সেই কথাগুলি জানাবার জন্যই আজকের এই বার্তা।
যে পরিবারটির কথা আজ বলবো ,সেই পরিবারটিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও সঙ্ঘ বিচার পরিবারের পশ্চিমবঙ্গের সকলেই জানেন।
এককথায় মোহন দা ,মদন দার পরিবার। বর্তমানে এই পরিবারের ছয়টি ভাই, রবিবার পর্য্যন্ত ছিলেন।
ছয় জনের মধ্যে তিনজন তৃতীয় বর্ষ সঙ্ঘ শিক্ষা প্রাপ্ত ও একজন দ্বিতীয় বর্ষ সঙ্ঘ শিক্ষা প্রাপ্ত।অবশিষ্ট দুইজনও সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক এবং বিচারধারা র সঙ্গেই কাজ করেন।
ছবিতে যাকে দেখছেন, তিনি বাষট্টি বছরের অসীম। তিনি ছিলেন এই পরিবারের পঞ্চম ভাই।এই রবিবারই দিল্লির বাড়িতে বসে থাকাকালীন অজানা এক স্ট্রোকে (সম্ভবত সেরিব্রাল)আমাদের কাছ থেকে চলে যান।
অসীম আমার বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন। আমি একজন স্বয়ংসেবক এবং এখন সাংসদ হয়েছি। তাই অসীম নিজে থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাঁকুড়া র মানুষের পানীয় ও কৃষির জলের কষ্ট কিভাবে দূর করা যায় তার পরিকল্পনা এবং রূপায়নে মনোনিবেশ করেছিলেন।
দিনের পর দিন জেলার নদীর পাড়ে কখনো গাড়িতে আবার বহু সময়ে পায়ে হেঁটে পর্যবেক্ষন করেছি,কারন অসীম তার ইঞ্জিনিয়ার এর বিদ্যা সমাজের কাজে লাগাতে চেয়েছিল। কিন্তু , তার পরিকল্পনার সফল রূপায়ণ তাকে দেখাতে আর পারবো না।
ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসের আরো কিছু যা বাকি ছিল, তা ঘটলো তার পরের দিন অর্থাৎ সোমবার । এদিন অসীমের স্ত্রীও হটাৎ দুপুরেই কিছুক্ষনের শারীরিক কষ্টে হাসপাতালে পৌঁছনোর পূর্বেই তার স্বামীর কাছে চলে গেলেন।
ছেলে নিলেশ বা নীলাদ্রি যেন দিল্লিতে একা হয়ে গেল– পিতৃ মাতৃ হীন হয়ে: তার এই অপূরণীয় ক্ষতিপূরণ সম্ভব না হলেও পুরো সঙ্ঘ পরিবার দিল্লীতে তার পাশে দাঁড়িয়েছে।
অখিল ভারতীয় সহ প্রচার প্রমুখ মাননীয় অদ্বৈত দা, দিল্লিতে সঙ্ঘের লক্ষী দা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর অজিত দা, বিজেপি র রাজ বব্বর ভাই,অসীমের দিল্লি অফিসের সাথীরা, কলকাতা বিজেপি র কিশোর দা, আরও অনেক বাঁকুড়া,কলকাতা ও দিল্লির স্বয়ংসেবকরা সর্বক্ষণ সাথে থেকেছেন। নিলেশ এর কাকা,জেঠা ও মাসীদের সাথে সাথে আমরাও আছি ওর পাশে।
ডা. সুভাষ সরকার
সাংসদ, বাঁকুড়া লোকসভা