দূর্গা পুজোয় বুকষ্টল দখলের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম সহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। যদিও সিপিএম বা বিজেপির স্বাভাবিক অভিযোগ থাকে, শাসকদল পুজো কমিটিতে প্রভাব বিস্তার করে বুকষ্টল দখল করে নেয়। এবছর ইতিমধ্যেই বুকষ্টল পেতে রাজনৈতিক দলগুলো উঠে পড়ে লেগেছে।
তবে, রাজ্য বিজেপির অন্দরে যা খবর, শাসকদল বুকস্টল খুলতে দিচ্ছে না৷ হুমকি দিচ্ছে৷ উপরন্তু প্যান্ডেলের বাইরে বিজেপিকে আটকাতে উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে সিপিএমকে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে৷ তাড়াল থেকে সিপিএমকে তৃণমূল বুকস্টল বানাতে মদত দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷
প্রসঙ্গত বলা যায়, এমন অভিযোগ তৃণমূল গত বছরও করেছিল। ২০১৮ সালে কলকাতা শহর অঞ্চলে ১০০ এর বেশি বুকষ্টল দিয়েছিল সিপিএম। কলকাতার ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রগুলির পুজোগুলিতে রাতভর জেগে বই বিক্রি করছেন সিপিএম কর্মীরা। কিন্তু অতটা খুশি ছিল না বিজেপি।
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, এবআরসি এবং সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল সংক্রান্ত বই বিক্রি করা হবে বলে আগে থেকেই বিজেপির স্টলগুলিকে আটকানো হবে, তা ঠিক করে রেখেছে তৃণমূল৷ আপাতত ফা্কা জায়গায় সিপিএমের স্টল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিজেপি’র স্টল আটকে দেওয়া হচ্ছে। তবে শুধু বুকষ্টল নয়, পুজো উদ্বোধনেও কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
শহরে অমিত শাহ’র দূর্গা পুজো উদ্বোধন নিয়ে রাজ্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় পার্টির মতবিরোধ চরমে। রাজ্য পার্টি যেখানে চাইছে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১টি পুজো উদ্বোধন করুক কলকাতায়, অন্যদিকে অমিত শাহ’র অফিস চাইছে মন্ত্রী ৫-৬ টি পুজোর উদ্বোধন করুন। ১ অক্টোবর অমিত শাহ কলকাতায় আসবেন। ওইদিন থাকবেন। ২ অক্টোবর ফিরে যাবেন। হাতে মাত্র ১০ দিন। কিন্তু রাজ্য বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি যে কোন পুজো বা কোন পুজো গুলি উদ্বোধনে আসবেন অমিত শাহ। তবে তারা বলেছে, প্রায় ৫০টি পুজো চাইছে অমিত শাহ তাদের পুজোতে আসুন। তৃণমূল অন্যদিকে বলছে, অমিত শাহ’র পুজো উদ্বোধন করার ক্লাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।