এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। যা নিয়ে উত্তর মালদহের সাংসদকে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি।
পাকিস্তানে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে কয়েক দিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা এই সাংসদ বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিলেন। যা নিয়ে উত্তর মালদহের সাংসদকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।

সরাসরি নাম উল্লেখ করে সাংসদকে পাকিস্তানপ্রেমী বলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা। তাঁর কথায়, “মৌসম বেনজির নূর যে ভাষায় কথা বলেছেন। সেই ভাষা শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান সংসদে সেখানকার জনপ্রতিনিধি সেখানকার মন্ত্রী ও সেখানকার আর্মির অফিসার দের মুখে। তারাও ঠিক একই কায়দায় এই মিথ্যাচার করে গেছেন। একজন ভারতীয় হয়ে তিনি যে ভাষা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি যেন পাকিস্তানপ্রেমী।”

গণি খান চৌধুরীর নাম করে মৌসম এবং তাঁর মামা আবু হাসেম খান রাজনীতি করেন বলে অভিযোগ করেছেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মালদহের একই পরিবারের দুই সাংসদ কোনও কাজ করেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “প্রয়াত গনি খান চৌধুরীর প্রয়াণের পর থেকেই মৌসম বেনজির নূর এবং তার আত্মীয় স্বজনরা মালদার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে গনি খান এর নাম করে এখানে রাজনীতি করেছেন ও বারবার সাংসদ হয়েছেন। তারা মানুষের জন্য কিছুই করেননি। তাকে উত্তর মালদায় ও তার মামা আবু হাসেম খান চৌধুরী কে দক্ষিণ মালদায় দেখাই যেত না। মালদার মানুষ তাদের কোনদিনও পাশে পেত না। এখন সুযোগ বুঝে মৌসম দল পাল্টিয়েছেন। তিনি যে ভাষায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণ করেছেন এবং তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর মত অন্য কার জনক ঘটনা আর হয় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এইবার মানুষ তাকে মোক্ষম জবাব দেবে।”

বিজেপির এই অভিযোগের ভিত্তিতে মৌসম বলেন, “আমার সেদিনের বক্তব্য সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছুই ছিল না। সেটাকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। আমি বলেছিলাম সেনাবাহিনীর সাফল্য নিয়ে বিজেপি যে রাজনীতি করছে সেটা দেশের পক্ষে ভালো নয়। বিজেপি এদিন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তাতেই বোঝা গেল তারাই সেনাবাহিনী নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। আমি দশ বছর সাংসদ রয়েছি। সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। যখন কংগ্রেসে ছিলাম তখনও মানুষের পাশে থেকেছি। এখন তৃণমূলে এসেছি মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার জন্য মানুষের পাশেই থাকবো।”