লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ এর প্রথম দফা ভোট প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দফায় দেশজুড়ে ৯১ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রদান হয়েছে। ২০১৪ সালে এই ৯১ টি আসনে প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট প্রদান হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ৮ টি লোকসভা কেন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গের ২ টি কেন্দ্র সামিল ছিল। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমী ক্ষেত্রের মুজাফরনগর লোকসভা কেন্দ্রেও প্রথম দফায় ভোট প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দফা ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর একটা খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে সামনে আসছিল যার যাচাই সেই মুহূর্তে সম্ভব হয়নি। ছড়িয়ে পড়া খবর নিয়ে নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছিল।
তবে এখন খবর ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়েছে এবং রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে। খবর এটাই যে মুজাফরনগরে বোরখার আড়ালে জালি ভোট প্রদান করা হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে বোরখা পরা মহিলাদের চেকিং না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি যে, বোরখা পরা মহিলাদের চেকিং করা হচ্ছে না ফলে জালি ভোট পড়ছে।
বিজেপি পার্থী সঞ্জীব বলিয়ান বলেছেন, ভোট কেন্দ্রে একটাও মহিলা কর্মী নেই ফলে বোরখা পরা মহিলাদের চেকিং হচ্ছে না। যার জন্য ভুয়ো ভোট পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে। যদি এটা নিয়ে তদন্ত না হয় তবে পুনরায় ভোটদানের জন্য দাবি তোলা হবে বলে খবর। সঞ্জীব বলিয়ান বোরখা পরা মহিলাদের উপর নজর রাখার জন্য দাবি তুলেছেন। উনি বলেছেন এইভাবে চললে অনেক ভুয়ো ভোট পড়তে থাকবে এবং ন্যায়ভাবে ফলাফল আসবে না। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত এটা নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।
এই সম্পর্কিত আরো একটা খবর সামনে আসছে যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বোরখার আড়ালে পুরুষরা মহিলাদের ভোট প্রদান করে দিচ্ছে বলে দাবি উঠেছে। যদিও এই দাবি ভিত্তিহীন বলে অনেকের মত। তবে দাবি করা হচ্ছে যে, মুসলিম মহিলারা তিন তালাক, হালালা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিজেপিকে ভোট দিতে চাই। অন্যদিকে মুসলিম পুরুষরা সেটা হতে দিতে চাই না বলে নিজেরাই মহিলাদের ভোট দিতে চলে আসছেন। একটা ছবি সহ খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে সালামার জায়গায় সাদ্দাম বোরখা পরে ভোট প্রদান করতে এসেছে। যদিও ছবি ভুয়ো বলে এখন দাবি উঠেছে।