কলকাতার আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না বলে জানা গিয়েছে। ওইসব লোকদের মাদ্রাসায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, কলকাতা পুলিসের ট্র্যাক রেকর্ড অক্ষুন্ন। মানব পাচারে জড়িত এর ব্যক্তির খোঁজে লখনউ থেকে কলকাতায় এসেছিল সেখানকার অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়ার্ড। কলকাতার গুলশান কলোনিতে সেই ব্যক্তির খোঁজে এসে ২১ জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেই ২১ জন কারা? তারা সেখানকার মাদ্রাসায় লুকিয়ে ছিল। এরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের কাছে ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড ছিল। এর কোনও খবর কলকাতা পুলিসের কাছে ছিল না। মাদ্রাসার কাউকে পুলিস ছুঁয়েছে কিনা আমরা তা জানি না। এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংগঠনের কথা আমরা বারবার বলছি।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, আপনারা জানেন তবলিঘি জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব সরকার। যেখান থেকে ইসলামের শুরু তারাও মানছে তবলিঘি জামাতের মতো সংগঠন মানবতার পক্ষে ক্ষতিকারক। সেখান থেকে উগ্রবাদী মানসিকতার জন্ম নিচ্ছে। কলকাতা পুলিসের অসমান্য দক্ষতা ফের একবার প্রমাণিত হল।
উল্লেখ্য, কলকাতার আনন্দপুরে আটক করা হয়েছে ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে। এদের কাছে বৈধ নথি ছিল না বলে পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে। লখনউ পুলিসের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়ার্ড এক অভিযুক্তকে ধরতে আসে আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে। দেখা যায় অভিযুক্ত একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তার কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। পরবর্তীকালে এনিয়ে কলকাতা পুলিস খোঁজখবর করা শুরু করলে ওই ২১ জনের হদিস মেলে। এদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কেন তাদের কাছে বৈধ নথি নেই, কেনইবা তারা পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আরও কারা বৈধ নথি ছাড়া রাজ্যে ঢুকেছে তা খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।