মমতা কেন তারকা প্রার্থী দাঁড় করান?
প্রশ্নটির সহজ উত্তর, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে।
এতদিন এই রকম একটা ব্যখ্যা মেনে নিয়েই নিশ্চিন্তে ছিলেন সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ। সততার প্রতীকে প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেওয়ার উদ্যোগ সেভাবে কেউ কোনওদিন নেননি। অন্তত তারকা প্রার্থী প্রসঙ্গেও যে বড় প্রশ্ন তোলা যায় তা কেউ ভেবেও দেখেননি। কবীর সুমন একবার এই বিযয়ে গলা ছেড়ে ছিলেন, সে সময় সুমন-শোভন বিরোধ কয়েকদিন সংবাদমাধ্যমের মুচমুচে খোরাক হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এরপর সুমনও মনে মনে ‘আমিও ভণ্ড অনেকের মতো’ গাইতে গাইতে রাজ্য সরকারি পুরস্কার নিতে গেছিলেন। ‘যা গেছে তা যা” বলে সারধার শিকার হওয়া মানুষের অশ্রু ভুলে বিজেপি বিরোধিতায় মমতার সঙ্গ দেওয়ার ‘পবিত্র’ কর্মটি পালন করতে ইদানীং বাংলা খেয়ালে মজে আছেন।

সে যাই হোক, মমতার তারকা প্রার্থী বেছে নেওয়ার পিছনে গুঢ় একটি কারণ সামনে আনলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সাংসদ ও এবার যাদবপুরের প্রার্থী অধ্যাপক অনুপম হাজরা।
অনুপম যা বললেন, তা এক কথায় মারাত্মক। তাঁর মতে, দেব, মুনমুন, সন্ধ্যা রায়দের মতো তারকা প্রার্থীদের এমপি ল্যাড সম্পর্কে কোনও সম্যক ধারনাই নেই। তাঁদের এমপি ল্যাডের টাকা তাঁরা নিমন্ত্রণ করতে পারেন না। নিমন্ত্রণ করেন দলনেত্রীর বিশ্বাসভাজন ওই সংসদীয় অঞ্চলের কোনও নেতা। এরপরেই অনুপমের বিস্ফোরক মন্তব্য, ওই টাকা কোথায় যায় কেউ জানে না।
প্রসঙ্গতঃ এবারও যাদবপুরে অনুুপমের বিপক্ষে রয়েছেন টলি-তারকা মিমি চক্রবর্তী। অনুপম বলেন, মানুষ একদিন সব বুঝতে পারবে। তখন তাঁরা মমতার তারকা প্রার্থীদের বয়কট করবে।
এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।