দিল্লিতে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিরোধী জোটের পরবর্তী পদক্ষেপ নিশ্চিত করার আগের দিন বাংলায় দিলীপ ঘোষ ও ভোপালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ | একদিকে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন রাণাঘাটে রবিবার সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকারীদের গুলি করে মেরে ফেলার কথা নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ,তখন জব্বলপুরের এক জনসভা থেকে অমিত শাহের নিদান,”দেশ বিরোধী স্লোগান যে তুলবে তাকে জেলে থাকতে হবে |

“রবিবার মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের একটি জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেডরিোয়ালের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, জেএনইউ ক্যাম্পাস থেকে দেশ বিরধোী স্লোগান উঠেছিল , “ভারত তেরে টুকরে হো এক হাজার,ইনশাল্লাহ,ইনশাল্লাহ, এদেরকে কি কে জেলে পোড়া উচিত নয়? মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে একটি জনসভায় শাহের এই প্রশ্নের পর থেকে জনগণের ভিতর থেকে আওয়াজ ওঠে, দেশ কো গদ্দারোকো,জুতে মারো মারো ,যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির রাজনীতি বেশ সরগরম | শাহ রবিবার বলেন,”এই টুকরে টুকরে স্লোগানিয়ারদের সমর্থক গান্ধী ও কেজরি এদের অক্সিজেন যোগাচ্ছে “|
একই সভা থেকে রাহুল ও মমতাকে প্রকাশ্য আলোচনা সভায় এসে যুক্তি দিয়ে তর্কে বসার আহ্বান জানান শাহ |
বলেন,”সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল না বুঝিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে আসুক এই দুজন | যত যাই বাধা আসুক সিএএ এর সফল রূপায়ণ ঘটিয়েই আমরা ছাড়বো,” মধ্যপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেন বিজেপির ম্যান ২ | প্রসঙ্গত , সিএএ ও এনআরসি কে কেন্দ্র করে এই রাজ্যে সংখ্যালঘু সেল থেকে একসঙ্গে ৪৮জন সদস্যের ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম কোন সফরে প্রকাশ্যে এই দুই বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী |
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সিএএ বা এনআরসি নিয়ে আর কোন জঙ্গী আন্দোলন সহ্য করবে না তা এই একই দিনে দুই নেতৃত্বের কথায় স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা | যদিও জেএনইউতে দেশ বিরোধী স্লোগান তোলা ওই পড়ুয়াদেরও জেলে পোরা হবে কিনা তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোন মন্চব্য করেননি শাহ | যদিও ৫ই জানুয়ারির পর থেকে হওয়া যাবতীয় আন্দোলনে যে শ্যেন দৃষ্টি থাকছে কেন্দ্রের তা বেশ বোঝা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের কথায় |