রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে কাল মহালয়ায় তর্পণ করবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও প্রবীণ নেতা মুকুল রায়ও।
কিন্তু দলের রাজ্য নেতারা এখন মূলত অপেক্ষার প্রহর গুণছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-র সফরের। ১ অক্টোবর কলকাতায় আসছেন অমিত। তাঁর এ বারের সফরের বড় মাইলফলক হতে চলেছে কলকাতায় একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন।
প্রশ্ন হল, কোন মণ্ডপ?
রাজ্য বিজেপি নেতারা এ ব্যাপারে এখনও গোপনীয়তা রেখে চলেছেন। কারণ, বিজেপি জানে আগে থেকে জানাজানি হয়ে গেলে শাসক দল বাগড়া দিতে পারে। তবে দলের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, সল্টলেকের একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করবেন বিজেপি সভাপতি। সম্ভবত সেটি বিজে ব্লকের একটি পুজো।
বিজেপি সূত্রে এও বলা হয়েছে, কলকাতার একটি সাবেক ও ঐতিহ্যশালী পুজো মণ্ডপ যাতে অমিত শাহ উদ্বোধন করতে পারেন সে জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি রাজ্য নেতারা। কিন্তু তাতে খুব একটা সফল হননি তাঁরা। কেন না এমনিতেই কলকাতার প্রায় প্রতিটি বড় পুজোই গত সাত-আট বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করে শাসক দল তৃণমূল।
বিজেপি নেতারা অবশ্য তাতে দমছেন না। তাঁদের কথায়, এর আগে বাংলায় প্রচার বা জনসভা করতে এসে অমিতজি বারবার বলেছেন, “এ রাজ্যে দুর্গা পুজোর বিসর্জন বা সরস্বতী পুজোতেও বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু তা চলতে দেওয়া যায় না”। রাজ্য বিজেপি নেতাদের কথায়, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি একটি পুজো মণ্ডপ যে উদ্বোধন করবেন তা হল প্রতীকী। তার মধ্যে দিয়েই বাংলাকে বার্তা দিতে চান তিনি।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপি-র এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, কলকাতায় পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এত আবেদন রয়েছে যে সবার অনুরোধ তাঁর পক্ষে রাখা সম্ভব নয়। তাই ইতিমধ্যে দিনে তিন-চারটি করে মণ্ডপ উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ একটি মণ্ডপ উদ্বোধন করে যদি খুশি থাকেন, সে তো ভাল কথা!