তিন সাংসদের ঘেরাটোপে থেকেও দলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের আঁচ থেকে বাঁচতে পারলেন না কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাখ ঘোষ। আজ তুফানগঞ্জের তৃণমূলের কার্যালয়ে ঢোকার মুখে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
দলের সদ্য নির্বাচিত তিন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায় ও প্রতিমা মণ্ডল আজ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর জেলার একাধিক জায়গায় তৃণমূলের পার্টি অফিস বিজেপি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। কর্মীদের মনোবল ফেরাতেই আজ জেলা সফরে গিয়েছেন তিন তৃণমূল সাংসদ। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁরা তুফানগঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে ঢুকতেই সরব হন দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কেন প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে সফরে এসেছেন তাঁরা। রবীন্দ্রনাথবাবুকে ঘিরে শুরু হয় বাদানুবাদ। তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। কিন্তু তাঁদের গলার আওয়াজ চাপা পড়ে যায় তুমুল হট্টগোলে।
জেলা সভাপতি থাকাকালীনই রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে নিয়ে দলের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে একাধিকবার। তৃণমূল মাদার ও যুবর সংঘাতে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে দিনহাটা সহ জেলার একাধিক এলাকা। পরে তৃণমূল জেলা সভাপতি নিশীথ প্রামাণিককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে কোচবিহার আসনে বিজেপির প্রার্থী হন নিশীথ। এবং তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ অধিকারীকে হারিয়ে সাংসদ হন তিনি। তারপর থেকে যেখানেই গিয়েছেন তিনি, সেখানেই দলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রবি ঘোষকে। এই পরিস্থিতিতেই গত শুক্রবার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
তারপরেও বিক্ষোভ পিছু ছাড়ছে না রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। এ দিন তুফানগঞ্জে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢোকার সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও।