কলকাতায় আয়োজিত হল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির বৈঠক। দু’দিন ব্যাপী এই বৈঠকের সূচনা হয় শনিবার। এদিন কলকাতার হরিয়ানা ভবনে বৈঠকের সূচনা হয়। দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন বৈঠকে।
বৈঠকের শুরুতেই সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসিস চৌহান দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, এবিভিপি-র প্রাক্তন কার্যকর্তা রমেশ গুডে, শামব্ভাবি ত্রিপাঠির আকস্মিক মৃত্যু এবং রাষ্ট্রবাদী সংগঠনের সমর্থক রাজা মজুমদারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে এক মিনিট মৌনব্রত পালন করেন। সেই সঙ্গেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়া নিয়ে রাষ্ট্রীয় সভাপতি এস সুব্বাইয়া ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত বছর এবিভিপি সেল্ফি উইথ ক্যাম্পাস-এর মাধ্যমে ৫২,০০০ ক্যাম্পাসে যাওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। গত বছর মহিলা আত্মরক্ষা কৌশল শেখানোরও কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তাঁরা। ৪,৫০০০০ ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার এই প্রসঙ্গে জানান, এইভাবেই বিদ্যার্থী পরিষদের গতিবিধি সমস্ত দেশে বেড়ে চলেছে। আমরা দেখেছি কিছু মানুষ গিরগিটির মতো রং পরিবর্তন করে লাগাতার পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। আমরা তাদের বলতে চাই দেশ সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করুন। যে ছাত্ররা রাষ্ট্রহিতের কাজ করছে তাদের উপর অত্যাচার বন্ধ করুন। মমতা ব্যানার্জি সম্পূর্ণ দেশে অসহিষ্ণুতার উদাহরণ হয়ে গেছে। বাংলায় গুলিতে আহত বিপ্লব সরকারের চিকিৎসা আমি নিজের হাতে করতে পারে গর্ববোধ করছি।”
আশিষ চৌহান বলেন, “যদি আমরা আজ শিক্ষা বিষয়ে দেখি তাহলে আমরা রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতি নিয়ে দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে বিদ্যার্থীদের কি মত তা জানার জন্যও ছাত্রছাত্রীদের কাছে যাব। দ্রুত এই শিক্ষানীতি সারা দেশে চালু হোক এই আশা আমাদের সরকারের কাছে থাকবে। অ্যাক্যাডেমিক কাউন্সেলিং-এ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন বিষয়ে আমরা সজাগ থাকব। বাংলা ভাষা নিয়ে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর দাবী তথা বিদ্যার্থীদের পক্ষে সব ধরনের দাবী উঠানোর কাজ এবিভিপি করবে।”