ডাক্তার নিগ্রহ নিয়ে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলতি অচলাবস্থার মধ্যেই সংকট আরও তীব্র হল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল এবং সুপার ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরেই রাতে সিউড়ি জেলা হাসপাতালের ৬৪ চিকিৎসক জানিয়ে দিলেন, ইস্তফা দিতে চান তাঁরা। এমনকী এই মর্মে একটি আবেদনপত্রও তাঁরা পাঠিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের সুপারের কাছে।
জানা গিয়েছে, সিউড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর যে হামলা হয়েছে, তাতে এই পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব নয়। সুপারের কাছে আবেদনে তাঁরা জানিয়েছেন, যদি আগামীকালের মধ্যে চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা আবার কাজে ফিরবেন। কিন্তু যদি তাঁদের দাবি না মানা হয়, তাহলে এই আবেদনপত্রকেই যেন ইস্তফাপত্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর চব্বিশ পরগনার কামারহাটিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৮ জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফাপত্র পেশ করেন। সন্ধ্যায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রিন্সিপাল শৈবাল মুখোপাধ্যায় দুজনেই সরকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। ডিরেক্টরেট অব মেডিক্যাল এডুকেশনের কাছে দেওয়া ওই ইস্তফা পত্রে তাঁরা দু’জনেই বলেছেন, তাঁদের দায়িত্ব থেকে যেন অবিলম্বে অব্যহতি দেওয়া হয়। কারণ, সরকার তাঁদের যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে তাঁরা অপারগ। সূত্রের খবর, কাল শুক্রবার এনআরএস হাসপাতালের আরও ষোলো জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিতে পারেন।
এই সব ইস্তফার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট শুধু যে তীব্র হল তা নয়, সরকারের শীর্ষ আমলারা এ ঘটনার পর আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন। তাঁদের আশঙ্কা এই ঘটনা সংক্রমণের মতো ছড়াতে পারে দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলিতে। কারণ, তাঁরা ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে যে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছেন। শুক্রবার গণ ইস্তফার পথে হাঁটতে পারেন তাঁরা।