করোনা লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ না মানার জন্য কলকাতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৫ জনকে। সোমবার বিকেল পাঁচটায় লকডাউন জারি হওয়ার পরও তারা রাস্তায় অকারণে বেরিয়েছিলেন। তবে কলকাতায় কিছুটা কড়াকড়ি হলেও বেশিরভাগ জেলাতেই কোনও বিধিনিষেধের বালাই নেই। চলছে বাজারহাট, খোলা ফেরিঘাট, হচ্ছে নৌকা চলাচল। বেশিরভাগ জায়াগায় ভালোই লোক সমাগম দেখা যাচ্ছে। লকডাউন সফল করতে হাবড়ায় পুলিশ ও র্যফ নেমেছে রাস্তায়। জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় বেরোলে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। সাধারণ মানুষকে বোঝানোর পাশাপাশি তারা ভয় দেখিয়ে সফল করছে লকডাউন। করোনা ভাইরাস রুখতে গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাকে এখন লকডাউন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তাঘাটে লোকজনের জটলা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ফেরিঘাটে জমজমাট ভিড়।
কোচবিহার সদর পর এলাকা আগেই লকডাউন করা হয়েছে। এবার কোচবিহার জেলার বাকি শহর গুলি দিনহাটা,মাথাভাঙ্গা , তুফানগঞ্জ এবং বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত বাজারগুলিতেও লকডাউন ঘোষণা করল প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ও পাঁশকুড়া পুরসভাকেও লক ডাউনে আনা হল। জনসমাগম বেশি বলেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যেই জেলার সদর, কোলাঘাট, কাঁথি, দিঘা ও হলদিয়াকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মালদা শহরের বাজারগুলি খুললেও অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়নি। শহরজুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।