পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘুর ভোটের মধ্যে ২০১১ সাল থেকে প্রায় সিংহ ভাগই শাসক দল তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) দখলে। মমতার (Mamata Banerjee) সবথেকে বড় ভোট ব্যাংক ২০১৯ এর লোকসভার নির্বাচনে ওনাকে বড় সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। কারণ ১৮ টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে ৪ টি আসন তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি।

যদিও তৃণমূল এবার সংখ্যালঘু ভোট টানতে মরিয়া। আর সেই কারণে সম্প্রতি বাংলায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল AIMIM এর প্রধান আনোয়ার পাশাকে নিজেদের দলে টেনে নিয়েছে। আনোয়ার পাশা তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেছেন, যেই ভুলটা বিহারে হয়েছে, সেটা এখানে আর হবেনা। এখানে মুসলিম ভোট ভাগ হতে দেওয়া যাবেনা। মুসলিম ভোট ভাগ হলেই বিজেপির সুবিধা হবে।
যদিও তাঁর দুদিন কাটতে না কাটতেই মমতা ব্যানার্জীর সংখ্যালঘু ভোটে বড়সড় ভাঙন ধরাল বিজেপি। আজ আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকা থেকে কয়েকশ সংখ্যালঘু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের কথায় মমতা ব্যানার্জীর আমলে কোনও উন্নয়নই হচ্ছে না। মমতা ব্যানার্জী শুধু ভাওতা দিয়ে দল চালাচ্ছেন।
যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল করে আসি অনেক বছর ধরে কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক কোনও উন্নয়নই করছেন না। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় কোনও উন্নয়ন নেই। আমরা এই উন্নয়ন বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে আজ বিজেপিতে যোগ দিলাম।
যদিও এই যোগদান পর্বে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, দিদি কোনও কাজ করেন নি, বাবুল সুপ্রিয় তো দুবারের সাংসদ উনি কি কাজ করেছেন সেটা বলুন? ওনাকে পাল্টা দেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই। উনি বলেন, দিদির আমলে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন হয়নি সেই আতঙ্কেই জীতেন্দ্র তিওয়ারি এরকম বলছেন।