ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হার দিয়ে শুরু করল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের মহিলা দল ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ২০১ রান। অধিনায়ক মিতালি একাই করেছিলেন ৭২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামসিন বিয়াউমন্ট এবং নাতালি সিভারের অপরাজিত অর্ধ শতরানের সৌজন্যে ৩৪.৫ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। এরসঙ্গেই তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ফলে এগিয়ে যায় তাঁরা। ম্যাচের পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে মিতালিকে দলের হারের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন দলের স্ট্রাইক রোটেট না করতে পারাকে।
ভারত অধিনায়ক এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের এই বিষয়টা একটু দেখতে হবে এবং স্ট্রাইক রোটেটের ওপর কাজ করতে হবে। রান পাওয়ার জন্য প্রথম পাঁচে আমাদের আরও একজন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। এর পাশাপাশি আমাদের বুঝতে হবে ইংল্যান্ডের বোলাররা খুবই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, বিশেষত আমাদের সিমারদের চেয়ে ওঁদের সিমাররা। ওঁরা ওঁদের দেশে খেলছে। ওঁরা জানে এখানে কীভাবে বল করতে হয়। আজ ওঁরা সত্যিই খুব ভালো খেলেছে। আমাদের স্ট্রাইক রোটেটের ব্যাপারটা দেখতেই হবে’।
প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দলের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন দেখা যাবে কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হলে মিতালি বলেন, ‘দল গঠনের ব্যাপারটা আমাদের একটু দেখতে হবে। প্রথম ম্যাচের ভুল শোধরাতে ব্যাটিং অর্ডারে কিছু পরিবর্তন হতে পারে’।
ভারত অধিনায়কের কথায়, প্রথমে ব্যাট করলে নিয়মিতভাবে ২৫০ রান কীভাবে তোলা যায় তার ওপর দলকে এবার কাজ করতে হবে। মিতালি এই বিষয়ে বলেন, ‘এত বছর ধরে আমি লক্ষ্য করেছি ভারতীয় দল রান তাড়া করতে পছন্দ করে। কারণ আমরা সেক্ষেত্রে জানি কোন রান রেটে ব্যাট করতে হবে। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস আছে যার ওপর আমাদের কাজ করতে হবে। যেমন, কীভাবে ২৫০ রান তুলতে হবে তার ওপর আমাদের কাজ করতে হবে। আজ যেমন আমরা প্রথমে ধীরেসুস্থে ব্যাট করলাম। তারপর উইকেট হারিয়ে নীচের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর রান তোলার দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম। এমন হলে আমরা ২০০-২১০ রানই তুলতে পারব। কিন্তু সেই রানের থেকে বেশি রান আমাদের প্রয়োজন’।
এই ব্যাটিং বিপর্যয় কাটাতে ব্যাটিং কোচের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করার কথা বলেন ভারত অধিনায়ক। মিতালি বলেন, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের ব্যাটিং কোচের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় বসতে হবে। প্রথমে ব্যাট করে কীভাবে ২৫০ রান তোলা যায়, কখন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হবে এই সব নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে’।