স্বস্তিতে লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ফের একবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে তাঁকে। আগামী ৮ অক্টোবর আর্জেন্টিনার (Argentina) হয়ে ইকুয়েডরের (Ecuador) বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচটিতেই মাঠে ফিরতে পারবেন লিওনেল মেসি।
এর আগে গত কোপা আমেরিকায় (Copa America) কনমেবলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবে কনমেবল প্রধান আলেজান্দ্রো ডমিঙ্গোয়েজের সঙ্গে আলোচনার পর আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়া জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ। এর ফলে আবারও মাঠে নামতে মেসির জন্য আর কোনও বাধা থাকল না।
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারক ওই ম্যাচে চিলির (Chile) গ্যারি মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মেসি। এরপর রেফারি মেসিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে দেন। আর মাঠের সেই শাস্তির পর মেসি নিজের রাগ আর সামলাতে পারেননি। কনমেবলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই ঘটনার পরই মেসিকে ৩ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে কনমেবল এবং ৫০ হাজার ডলার জরিমানাও করে। তবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একেবারে শুরু থেকেই খেলতে পারবেন মেসি। ৮ অক্টোবর ইকুয়েডর এবং ১৩ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা।
এদিকে রাগ-অভিমান, মন খারাপের পালা শেষ। এবার বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার পালা। আর তাই অতীত মতানৈক্য ভুলে গত সোমবার থেকে বার্সেলোনার অনুশীলনে হাজিরও হয়েছেন মেসি। আগামী মরশুমেই হয়তো অন্য কোনও ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলবেন। কদিন আগে পর্যন্ত মেসিকে নিয়ে এই জল্পনাই ছিল তুঙ্গে। সেই সময় ক্লাবের তরফে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষাও করাননি মেসি। এমনকী, সমস্ত ধোঁয়াশা কাটিয়ে আরও একটা মরশুম বার্সায় থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণার পরও প্র্যাকটিসে যোগ দেননি তিনি। কিন্তু অবশেষে অনুশীলনে নেমে পড়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেন।