কলকাতার ছেলের গলায় এশিয়ান গেমসের সোনা, বালিগঞ্জের অনুশের পরের লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক্স

মাত্র তিন বছর বাবার হাত ধরে প্রথম বার টালিগঞ্জ ক্লাবে গিয়েছিল অনুশ আগরওয়াল। সেই প্রথম ঘোড়ায় চড়া। তার পর থেকেই ঘোড়ার সঙ্গে প্রেম। সেই ঘোড়াই অনুশকে সোনা এনে দিল এশিয়ান গেমসে। ‘ইকুয়েস্ট্রিয়ান ড্রেসেজ’ ইভেন্টে সোনা জিতেছেন অনুশ। বাংলার আরও এক জন উঠেছেন এশিয়ান গেমসের পোডিয়ামে। অল্পের জন্য টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যেতে পারেননি অনুশ। এ বার তাঁর লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক্স। বিশ্বমঞ্চে ভারতকে গর্বিত করতে চান লা মার্টিনিয়ের ফর বয়েজ়ের ছাত্র।

বালিগঞ্জের ছেলের শুরুটা কলকাতায় হলেও তার পরে প্রথমে দিল্লি ও তার পর জার্মানিতে গিয়ে অনুশীলন করেছেন অনুশ। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী হুবারটিয়াস স্মিডের কাছে নিজেকে আরও তৈরি করেছেন। এশিয়ান গেমসে সেটাই দেখা গিয়েছে। দলগত বিভাগে অনুশের সঙ্গে ছিলেন সুদীপ্তি হাজেলা, দিব্যাকৃতি সিংহ ও হৃদয় ছেড়া। চার জনের এই দলের হাত ধরে ৪১ বছর পর এশিয়ান গেমসে ইকুয়েস্ট্রিয়ানে সোনা জিতেছে ভারত। এশিয়ান গেমসের আগে অনুশ সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘‘এশিয়ান গেমসে খেলা আমার কাছে স্বপ্ন। দলের বাকিরাও খুব ভাল। তিন দিন ধরে প্রতিযোগিতা চলবে। আশা করছি ভাল খেলব।’’ নিজেদের কথা রেখেছেন অনুশেরা।

তিন বছর বয়সে প্রথম ঘোড়ায় চড়লেও গুরুত্ব দিয়ে অনুশীলন শুরু আট বছর বয়স থেকে। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের অনুশীলন চালিয়া গিয়েছেন। অনুশের কথায়, ‘‘আমি সব সময় পড়াশোনা ও অনুশীলনের মধ্যে ভারসাম্য রেখেছি। ১১ বছর বয়সে দিল্লি চলে যাই। সেখানে কঠিন অনুশীলন করি। তার পরে জার্মানিতে যাই। সেখানে নিজেকে আরও তৈরি করি। তারই ফল পাচ্ছি।’’

কলকাতায় টালিগঞ্জ ক্লাব, রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব, ক্যালকাটা পোলো ক্লাবের মতো ক্লাব রয়েছে যেখানে ইকুয়েস্ট্রিয়ান শেখানো হয়। অনুশের কথা জানার পরে টালিগঞ্জ ক্লাবের ইকুয়েস্ট্রিয়ানের দায়িত্বে থাকা শেন ডমিঙ্গো বলেন, ‘‘আমাদের ক্লাবে শুরু করে একটা ছেলে যে এশিয়ান গেমসে গিয়েছে তাতে আমি খুব খুশি। ওর খেলা বাকিদের অনুপ্রাণিত করবে। আরও অনেকে এই খেলায় আগ্রহ দেখাবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.