নিলামে ক্রিকেটারদের দলে নেওয়ার জন্য কলকাতার পার্সে বাকি আর মাত্র ১২.৬৫ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়েই এখনও পূরণ করতে হবে দলের একাধিক শূন্যস্থান। নিয়ম অনুযায়ী, দলে নিতে হবে আরও অন্তত ৯ জন ক্রিটেকারকে। নিয়মের বাধ্যবাধকতা বাদ দিলেও দলের ভারসাম্য বজায় রাখতেও কিছু ডিপার্টমেন্টে খেলোয়াড় নিতে হবে ভেঙ্কি মাইসোরদের।
২০২২ সালেও কতকটা ২০২১ সালের ফর্মুলাতে ফিরে গিয়েই দল সাজাচ্ছে কেকেআর। শুভমন গিলের জায়গায় শ্রেয়স আইয়ারকে দলে নিয়েছে দল। নীতিশ রানা ফিরেছেন। আন্দ্রে রাসেলকে রিটেন করেছিল দল। শ্রেয়স ও নীতিশকে যথাক্রমে ৩ ও ৪ নম্বরে নামাতে পারে কেকেআর। আর রাসেল নামবেন ৬ নম্বরে। তবে ৫ নম্বরে একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটার প্রয়োজন কলকাতার। দীনেশ কার্তিককে দল ছেড়ে দেয় এবছর। এখনও পর্যন্ত নিলামে শেলডন জ্যাকসনকে নিয়েছে দল। তাঁকে দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে দলে রাখা যেতে পারে। তবে প্রথম বাছাই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের জন্য আজ খোঁজাখুঁজি চালাতে হবে ভেঙ্কিদের।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে আন্দ্রে রাসেলকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়া এক ফিনিশারের প্রয়োজন কেকেআর-এর। রাসেল প্রতিটা ম্যাচ জেতাতে পারবেন না। আর ম্যাচ জেতাতে হলেও লোয়ার অর্ডারে তাঁকে সঙ্গত দেওয়ার জন্য প্রয়োজন আরও এক ফিনিশারের। প্যাট কামিন্স, শিব মাভি, সুনীল নারিনরা ব্যাট চালাতে পারলেও তাঁরা মর্গ্যান বা কার্তিক নন। এই শূন্য স্থান পূরণ করতেও দেখতে হবে কেকেআর-কে।
এদিকে দলে পেস বোলারের অভাব রয়েছে। প্যাট কামিন্স দুর্দান্ত বোলার হলেও শেষের ওভারে তিনি অতটা কার্যকরী নন। অপরদিকে শিবম মাভির অভিজ্ঞতা কম। এই পরিস্থিতিতে লকি ফার্গুসন, প্রসিধ কৃষ্ণাদের অভাব অনুভব করবে কেকেআর। আর তাই সেই শূন্য স্থান পূরণ করতে নিলামের দ্বিতীয় দিনে ঝাঁপাতে হবে দলকে।