ছ’দিনের নিভৃতাবাস। তিন দিনের ট্রেনিং। এবং টেস্ট ম্যাচ! আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চেন্নাইয়ে টেস্ট যুদ্ধে নেমে পড়ার আগে ভারত এবং ইংল্যান্ড, দু’টো টিমের কাছে নির্ঘণ্ট ঠিক এটাই। আজ, অর্থাৎ বুধবার সকালে জো রুটের (Joe Root) নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের বত্রিশ জনের স্কোয়া়ড নামছে চেন্নাইয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা আবার চেন্নাই ঢুকবেন গোটা দিন জুড়ে, দফায় দফায়। এবং তার পরই ভারত এবং ইংল্যান্ড, দু’টো টিমকেই বাধ্যতামূলক ছ’দিনের নিভৃতাবাসে চলে যেতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার যতই মাঠে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক রেখে ম্যাচ আয়োজনের পরামর্শ দিক, পরিস্থিতি যা তাতে মাঠ ফাঁকা রেখেই চেন্নাইয়ে প্রথম দু’টো ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট হতে চলেছে। চেন্নাই কর্তারা চান না কোনও রকম ঝুঁকি নিতে। কারণ, করোনা আবির্ভাবের পর ভারতের মাটিতে এটাই প্রথম কোনও সিরিজ। ভারতীয় বোর্ড, তারা আবার দু’টো টিমের জন্য একটা গোটা হোটেল বুক করে ইতিমধ্যে সেখানে জৈব সুরক্ষা বলয় (Bio Bubble) সৃষ্টি করে ফেলেছে। ক্রিকেটাররা তাঁদের স্ত্রী-পরিবার নিয়ে আসতে পারেন, কিন্তু নিভৃতাবাসের প্রথম ছ’দিন হোটেল রুমের বাইরে পা রাখার অনুমতি নেই। প্রথম ছ’দিনে নিভৃতাবাসলে থাকাকালীন প্রয়োজনীয় করোনা পরীক্ষা হয়ে গেলে ক্রিকেটাররা হোটেলের সুইমিং পুল ব্যবহার করতে পারবেন। যা খবর, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সেই ব্যাপারে অনুমতি নিয়ে রেখেছে তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা। তবে সিরিজ চলাকালীন দুই টিমের ক্রিকেটার ও তাঁদের পরিবারবর্গ কোনও অবস্থাতেই জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে বেরোতে পারবেন না। হোটেল থেকে বেরিয়ে শুধুমাত্র মাঠ এবং ট্রেনিং গ্রাউন্ডে যাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের (England Cricket Team) বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্ট ৫ ফেব্রুয়ারি। করোনা মহামারীর পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে ফিরছে ক্রিকেট। ইতিমধ্যেই আইপিএল (IPL) এবং অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে টিম ইন্ডিয়ার তারকারা প্রায় সাড়ে চার মাস কাটিয়ে এসেছেন নিভৃতাবাসে। এরপর ফের টানা প্রায় মাস দেড়েকের জন্য কোয়ারেন্টাইনে ঢুকে যাবে তাঁরা। যা বেশ কষ্টকর। সেজন্যই ক্রিকেটারদের এই নিভৃতাবাসের সময় যতটা সম্ভব নিয়ম শিথিল করার চেষ্টা করেছে বিসিসিআই।