অন্ধ সমর্থক থেকে দলের জয়ের কান্ডারি। মিচেল ওয়েনের আগ্রাসী শতরানে ভর করে বিগ ব্যাশ লিগ চ্যাম্পিয়ন হল হোবার্ট হ্যারিকেনস। প্রতিযোগিতার তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতরানেরও নজির গড়লেন তাসমানিয়ার ২৩ বছরের ব্যাটার। প্রথমে ব্যাট করে সিডনি থান্ডার্স করে ৭ উইকেটে ১৮২ রান। জবাবে হোবার্ট হ্যারিকেনস ১৪.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৫।
হোবার্টের জয়ে বিশেষ ভূমিকা নিলেন ওপেনার ওয়েন। ৪২ বলে তাঁর ১০৮ রানের ইনিংসই ট্রফি ছিনিয়ে আনল। ৬টি চার এবং ১১টি ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ১৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। ওয়েন ৩৯ বলে শতরান করেন। যা বিগ ব্যাশ লিগ ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম। ১৭ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ম্যাথু ওয়েড। এর আগে সিডনির হয়ে ভাল ব্যাট করেন জেসন সাঙ্ঘা এবং অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। সাঙ্ঘা করেন ৪২ বলে ৬৭। ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। তাঁদের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৯৭ রান। হোবার্টের অধিনায়ক নাথান এলিস ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
হোবার্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ১০ বছর পুরনো একটি ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্যালারিতে ১৩ বছরের উচ্ছ্বসিত ওয়েনকে। তার গায়ে হোবার্ট হ্যারিকেনসের জার্সি। ছোট থেকেই হোবার্ট হ্যারিকেনসের অন্ধ ভক্ত ওয়েন। এ বার নিজেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন। ১০ বছর আগে গ্যালারি থেকে প্রিয় দলকে উৎসাহ দেওয়া কিশোরই এ বার দলের সাফল্যের নায়ক। প্রিয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়ায় প্রথম থেকেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন ওয়েন। সব সময় চেষ্টা করেছেন নিজের সেরাটা উজার করে দিতে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন তিনি।
ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়ে ওয়েন বলেছেন, ‘‘এটা অসাধারণ অনুভূতি। কথার বলার অবস্থায় নেই। সত্যিই ভাষা হারিয়ে ফেলছি। সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ। গোটা প্রতিযোগিতায় দারুণ সমর্থন পেয়েছি। প্রবল চিৎকার করেছেন আপনারা। আপনাদের দেখে আমারও পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতাটা আমি শুধু উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। আমার চেষ্টা দলের কাজে লাগায় খুব ভাল লাগছে।’’