উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) জমিয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সোমবার ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে গুজরাত জায়ান্টসকে ৯ রানে হারিয়ে দিল তারা। দিল্লিকে সরিয়ে অল্পের জন্য শীর্ষে ওঠা হল না হরমনপ্রীত কৌরের দলের। তবে আরও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের।
প্রতিযোগিতার সেরা দল সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। ফলে শেষ ম্যাচে আরসিবি-কে হারালেই সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত মুম্বইয়ের। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকায় প্লে-অফে খেলবে গুজরাত এবং দিল্লি। জয়ী দল ফাইনালে উঠবে। আগেই ছিটকে গিয়েছে ইউপি ওয়ারিয়র্জ় এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মুম্বই শেষ ম্যাচে হারলে তারা গুজরাতের সঙ্গেই প্লে-অফ খেলবে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অ্যামেলিয়া কেরকে (৫) হারিয়েছিল মুম্বই। তাঁকে রান আউট করেন অ্যাশলে গার্ডনার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে হেইলি ম্যাথুজ় (২৭) এবং ন্যাট শিভার-ব্রান্ট (৩৮) জুটি গড়েন। ম্যাথুজ় আউট হওয়ার পর শিভার-ব্রান্টের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তাঁরা তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রান যোগ করেন।
ছয়ে নেমে চালিয়ে খেলে দ্রুত রান করে যান অমনজ্যোত কৌর। তিনটি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে ১৫ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ন’টি চারের সাহায্যে ৩৩ বলে ৫৪ রান করেন হরমনপ্রীত। শেষের দিকে যস্তিকার ভাটিয়ার চার বলে ১৩ রানের সৌজন্যে লড়াকু স্কোর খাড়া করে মুম্বই।
জবাবে গুজরাত একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। কেউই ক্রিজ়ে এসে থিতু হতে পারছিলেন না। পর পর ফিরে যান বেথ মুনি (৭), কাশ্বী গৌতম (১০), গার্ডনাররা (০)। গুজরাতের হয়ে যিনি ধারাবাহিক ভাল খেলেছেন, সেই হরলীন দেওলও (২৪) বেশি রান করতে পারেননি। এক সময় ৭০ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল গুজরাতের।
সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন ভারতী ফুলমালি। শুরু থেকেই তিনি বিধ্বংসী মেজাজে খেলছিলেন। মুম্বইয়ের কোনও বোলারকেই দাঁড়াতে দিচ্ছিলেন না। একের পর এক বল মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ছিল। তিনি শেষ পর্যন্ত থাকলে গুজরাত ম্যাচটা জিততে পারত। তবে আটটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে ২৫ বলে ৬১ রান করার পর কেরের বলে ফুলমালি ক্যাচ দেন জি কমলিনীর হাতে।
শেষ ওভারে দরকার গুজরাতের ছিল ১৩ রান। প্রথম বলেই রান আউট হন তনুজা কুঁয়ার। তাঁর ক্যাচ ম্যাথুজ় ফেলে দিলেও, সেই বল বোলারের দিকে ছুড়ে দেন। রান আউট করেন হরমনপ্রীত।