ইউরো কাপের ইতিহাসে দ্রুততম গোল করেও হার আলবেনিয়ার, জিতেও চিন্তা থাকল ইটালির

ইউরো কাপের ইতিহাসে দ্রুততম গোল। তা সত্ত্বেও হার বাঁচাতে পারল না আলবেনিয়া। ইটালি জিতল ২-১ গোলে। ২২ সেকেন্ডে গোল করে আলবেনিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নেদিম বাজরামি। ১০ মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরান আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। তার পাঁচ মিনিট পরে ইটালিকে এগিয়ে দেন নিকোলো বারেল্লা। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি আলবেনিয়া। তবে গোল করার লোকের অভাব পরের দিকে ভোগাতে পারে ইটালিকে। আলবেনিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিতে গেলেও মারণগ্রুপে থাকা ক্রোয়েশিয়া বা স্পেনকে হারাতে বেগ পেতে হতে পারে।

ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে তখনও সমর্থকেরা ঠিক করে আসনে বসতে পারেননি। হঠাৎই গোটা স্টেডিয়াম স্তম্ভিত হয়ে দেখল, ইটালির জালে জড়িয়ে গিয়েছে বল। দু’হাত তুলে ছুটছেন আলবেনিয়ার ফুটবলার নেদিম বাজরামি। ইটালির সমর্থকেরা তখনও ব্যাপারটা হজম করতে পারেননি। আলবেনিয়ার সমর্থকদেরও বিশ্বাস হয়নি। মুহূর্তের বিহ্বলতা কাটিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তাঁরা।

এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত আলবেনিয়া এক বারই ইউরো কাপে খেলেছে এবং মাত্র একটিই গোল করেছে। ২০১৬ সালে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে সেই গোল ছিল আর্মান্দো সাদিকুর, যিনি এখন মোহনবাগানে খেলেন। দ্বিতীয় বার ইউরো কাপ খেলতে নামার ২২ সেকেন্ডের মধ্যে আলবেনিয়া পেল দ্বিতীয় গোলদাতা বাজরামিকে।

গোলের ক্ষেত্রে দোষ ইটালিরই। ডিফেন্ডার ফেদেরিকো ডিমার্কো থ্রো থেকে বল দিতে গিয়েছিলেন গোলকিপার জিয়ানলুইগি দোনারুম্মাকে। সেই বল ধরে ফেলেন বাজরামি। দ্রুত এগিয়ে সপাটে শটে দোনারুম্মাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান। ইটালির গোলকিপারের কিছু করার ছিল না।

পরের মিনিটেই সমতা ফেরাতে পারত ইটালি। জিয়ানলুকা স্কামাচ্চার পাস পেলেও গোল করতে পারেননি লোরেঞ্জো পেলেগ্রিনি। তবে ১১ মিনিটেই সমতা ফেরায় ইটালি। কর্নার থেকে ডিমার্কোর ক্রস ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাস্তোনির কাছে যায়। তিনি হেডে অনায়াসে বল জালে জড়ান।

১৬ মিনিটে ইটালির দ্বিতীয় গোল। আক্রমণের সময় দু’দলের খেলোয়াড়দের জটলা থেকে বল চলে আসে বারেল্লার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে নিচু জোরালো শটে গোল করেন তিনি। ইটালির আক্রমণ থামেনি। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। তবে আলবেনিয়ার রক্ষণাত্মক কৌশল এবং ইটালির অতিরিক্ত উইং দিয়ে আক্রমণের কারণে গোল হয়নি। তার মাঝেই ৩৫ মিনিটে ডেভিড ফ্রাত্তেসির শট বারে লাগে।

দ্বিতীয়ার্ধেও রক্ষণ জমাট রেখেছিল আলবেনিয়া। তা ভেঙে বেরোতেই পারছিল না ইটালি। যে দু’-একটি সুযোগ তারা তৈরি করেছিল তা থেকে গোল আসেনি। আলবেনিয়া ভরসা রেখেছিল প্রতি আক্রমণেই। কোনও ফুটবলারকেই উপরে উঠে এসে খেলতে দেখা যাচ্ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.