এক দিন পরেই বিশ্বকাপ ফাইনাল। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালের পিচ নিয়েও জল্পনা, বিতর্ক। প্রথমে জানা গিয়েছিল, আইসিসি-র প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন নাকি বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বিশ্বকাপে তাঁর কাজ শেষ বলেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তিনি। পরে জানা যায় যে, তিনি ভারতেই আছেন। কিন্তু শুক্রবার আমদাবাদের পিচের ধারেকাছে দেখা যায়নি তাঁকে। শনিবার আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
অ্যাটকিনসনের না থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, সেমিফাইনালে ওয়াংখেড়ের পিচ ভারত বদলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার পর ফাইনালের চূড়ান্ত পিচ প্রস্তুতির দায়িত্ব এখন দুই ভারতীয়ের হাতে। তাঁরাই অ্যাটকিনসনের নির্দেশ মেনে কাজ করছেন। অ্যাটকিনসন শনিবার এসে তদারকি করবেন।
বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছিলেন, “অ্যাটকিনসনের কাজ শেষ। তাই জন্যে চলে গিয়েছে। দয়া করে এখানে কোনও বিতর্ক খুঁজতে যাবেন না। কারণ কোনও বিতর্কই নেই এতে। আইসিসি-র কোনও নিয়মেই লেখা নেই যে ফাইনালে প্রধান পিচ প্রস্তুতকারককে থাকতেই হবে।” কিন্তু আইসিসি-র এক সূত্র পিটিআইকে বলেছে, “অ্যাটকিনসন বাড়ি যাননি। আইসিসি-র কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার দুপুরেই আমদাবাদে এসেছেন উনি। তবে মাঠে আসেননি। শনিবার মাঠে এসে পিচ দেখবেন।”
এটা বলেও বিতর্ক এড়ানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি ভারতীয় বোর্ডের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন অ্যাটকিনসন। ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনালে পিচ বদলানোর প্রসঙ্গে আয়োজক দেশকেই খলনায়ক বানিয়েছিলেন তিনি। পরে আইসিসি-র তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তত ক্ষণে যা বিতর্ক হওয়ার হয়ে গিয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, আমদাবাদে ফাইনালেও কোনও ব্যবহৃত পিচে খেলা হতে পারে।
শুক্রবার দুপুরে অনুশীলনে গিয়ে রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় পিচ পরীক্ষা করেন। খুব বেশি দুশ্চিন্তা তাঁদের চোখে-মুখে দেখা যায়নি। আইসিসি-র খবর অনুযায়ী, বোর্ডের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক আশিস ভৌমিক এবং তাঁর সহকারী তাপস চট্টোপাধ্যায় ফাইনালের চূড়ান্ত পিচ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন বোর্ডের মুখ্য কর্তা আবে কুরুভিল্লা।