আবার কোহলী-বোর্ড মতবিরোধ প্রকাশ্যে, টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় পাশে ছিল বোর্ড, দাবি কর্তার

পাকিস্তানের কাছে হারের পর নিজের যন্ত্রণার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিরাট কোহলী। জানিয়েছিলেন, টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বাদে কেউ তাঁকে কোনও বার্তা পাঠাননি। সতীর্থদের পাশাপাশি ইঙ্গিত ছিল বোর্ডের দিকেও। এ বার কোহলীর মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন এক বোর্ডকর্তা। জানালেন, তাঁদের তরফে কোহলীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছিল এবং প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়েছিল।

‘ইনসাইড স্পোর্ট’ নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ডকর্তা বলেছেন, “প্রত্যেকে সেই সময় বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু ওর সতীর্থরা নয়, বোর্ডও। ও সমর্থন পায়নি, এটা বললে মিথ্যা বলা হবে। নিজেকে পুরনো ছন্দে ফেরানোর জন্য ওর বিরতি দরকার ছিল। তার পর থেকে একটানা বিরতি পেয়েছে। টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর বোর্ডের প্রত্যেকে ওকে নেটমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। জানি না ও কার ব্যাপারে কথা বলছে।”

প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, এক জন মাত্র প্রাক্তন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করেছিল। অনেকের কাছেই আমার নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিল শুধু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়। সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে, তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত।”

তার পাল্টা দিয়ে সোমবার ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর বলেন, “বিরাট ঠিক কাকে ইঙ্গিত করছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। যদি কারওর নাম বলত, তা হলে তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা যেত যে, সে কোহলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না। আমি শুনেছি ও বলেছে, টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর শুধু এমএসডি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।”

কোহলীকে উত্তর দিতে গিয়ে এখানেই থামেননি গাওস্কর। বলেছেন, “ওর সঙ্গে খেলেছে, এ রকম কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথা যদি কোহলী ইঙ্গিতে বুঝিয়ে থাকে, তা হলে এমন অনেককেই আমরা চিনি যারা রোজ টিভিতে মুখ দেখায়। তাই সেই ক্রিকেটারের নাম নেওয়া উচিত কোহলীর। জিজ্ঞাসা করা উচিত সে কেন বার্তা পাঠাল না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.