বীরভূমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে বাধা, চলল বোমা, গুলি, মৃত ১

কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চলল গুলি, ফাটল মুহুর্মুহ বোমা। বোমায় মৃত্যু হল এক জনের। গুলিবিদ্ধ আরও একজন। মৃত ব্যক্তির নাম শেখ নাসিরুদ্দিন (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার তালিবপুর গ্রামে।

করোনা(corona) ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে কোয়ারান্টাইন (Quarantine)সেন্টার করার জন্য স্কুল, কলেজ, হোটেল নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সেই মতো শনিবার বিকেলে পাঁড়ুই থানার তালিবপুর গ্রামে যান প্রশাসনের লোকজন। সেখানে একটি গার্লস হোস্টেলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ তাতে বাধা দেয়। উত্তেজনা ছড়ালে পাঁড়ুই থানার পুলিশ মধ্যস্থতা করে। কিন্তু রাতের দিকে ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। গ্রামের বাসিন্দা বনশঙ্কা অঞ্চল সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ, তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আব্দুল হাইদের নেতৃত্বে বোমা, গুলি নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।

গ্রামের বাসিন্দা মৃত নাসিরুদ্দিনের নিকট আত্মীয় বলেন, “আমরা সবাই তৃণমূল করি। নাসিরুদ্দিনই পঞ্চায়েত সদস্য বানিয়েছিল সাইফুদ্দিনকে। আমরা কোয়ারান্টাইন সেন্টার করতে বাধা দিয়েছিলাম। কারন স্কুলের কাছে সব বাড়ি। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সহ সভাপতি জোর করে করার চেষ্টা করে। পুলিশ বিষয়টি মিটিয়েও দেয়। কিন্তু রাতে তারা নাসিরুদ্দিনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। গুলি চালায়। এক সিভিক ভলান্টিয়ার এর সঙ্গে যুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাসিরুদ্দিনের”।

তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি রানা সিংহ বলেন, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাজ করেছে”। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “গ্রামের মানুষই বলছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাছাড়া ওই গ্রামের আমাদের তেমন লোকজন নেই। তৃণমূল নিজেদের বিরোধ চাপা দিতে এসব বলছে”। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, “গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.