প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে নিযুক্ত আইন বিভাগের সমস্ত অ্যাটর্নিকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন আইন বিভাগ থেকে বাইডেন-যুগের ‘সমাপ্তি’ হবে। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমাদের হাউস পরিষ্কার করতে হবে। পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। আমেরিকার স্বর্ণযুগের জন্য একটি ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা থাকবে— যার কাজ আজ থেকেই শুরু হবে।’’ যদিও প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বস্তুত, গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউসের তরফে বেশ কয়েক জন মার্কিন অ্যাটর্নিকে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলাই বাহুল্য, তাঁরা প্রত্যেকেই বাইডেনের সময়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন। গত সোমবার কয়েক জন অ্যাটর্নি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন। যদিও নতুন প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রশাসনে রদবদল করলে মার্কিন অ্যাটর্নিদের বদলের ‘রীতি’ নতুন নয়। সাধারণত প্রশাসনের তরফে তাঁদের পদত্যাগপত্র দাবি করা হয়। কিন্তু এ ভাবে এর আগে কখনও নির্দেশ জারি করে চিঠি পাননি কেউ। এমনটাই জানাচ্ছেন আমেরিকার আইন বিভাগের বর্তমান এবং প্রাক্তন আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, এর আগে বাইডেনের নিরাপত্তার ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে আমেরিকার গোপন তথ্যাবলি আর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পাবেন না। তাঁর কাছে আর কোনও গোপন খবরও পৌঁছবে না। ক্ষমতাচ্যুত হলেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টেরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।
কিন্তু ২০২১ সালে ট্রাম্পের ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন বাইডেন। তারই প্রতিশোধ নিলেন রিপাবলিকান নেতা। সে কথা স্বীকার করে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এই উদাহরণটি তৈরি করেছেন বাইডেন নিজেই। ২০২১ সালে তিনি আমার নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাকে যেন জাতীয় নিরাপত্তার আর কোনও খবর না দেওয়া হয়। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টেরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।’’