দফা কমানোর বার্তা নেই,বরং চালু কোভিড বিধিতেই নির্বাচনে জোর কমিশনের

করোনা আবহেও ভোটের সূচি বদলাচ্ছে না। বরং ‘কঠোর ভাবে’ কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা দিল কমিশন। শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে পরবর্তী দফাগুলি দিন বদল বা এক দফায় সবগুলি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ‘কঠোর ভাবে’ কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা দিয়েছে কমিশন।কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে বাকি দফার ভোট? তবে কী চার দফার ভোট হবে এক দফাতেই? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিল নির্বাচন কমিশন। সর্বদলীয় বৈঠকে জানানো হল, নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট মেনেই বাকি দফার ভোট সম্পন্ন হবে। সে ক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচার চালাতে হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পঞ্চম দফার ভোটের আগের দিন শুক্রবার কমিশনের দফতরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠকের আয়োজন হয়। তৃণমূল, বিজেপি, সংযুক্ত মোর্চা-সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন কমিশনের আধিকারিকেরা।করোনা সংক্রমণ রুখতে শেষ তিন দফার ভোট এক সঙ্গে করা প্রস্তাব দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাব রাখেন। যদিও এই প্রস্তাবে কার্যত আমল দিতে চাননি কমিশন কর্তারা। তাঁদের তরফে কোভিড প্রোটোকল মেনেই চার দফায় ভোটের কথা জানানো হয়েছে।আবার বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চা শেষ ৩ দফার ভোট একবারে করানোর প্রস্তাবে সায় দেয়নি বৈঠকে। বিজেপি-র প্রতিনিধি স্বপন দাশগুপ্ত অবশ্য ভোটের দফা কমানোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নিরাপত্তাকে। একইসঙ্গে ভোটের লাইনে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার কথা জানান তাঁরা। যদিও ভার্চুয়াল প্রচারে সায় নেই তাঁদের। শেষ মুহূর্তে এইভাবে প্রচার সম্ভব নয় বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। কোনওভাবেই যেন ভোটের স্পিরিট নষ্ট না হয়, আর্জি জানিয়েছে বিজেপির।  শুক্রবারের সর্বদল বৈঠকে কমিশনের তরফে নতুন করে কোনও কোভিড গাইডলাইন দেওয়া হয়নি জানিয়ে স্বপনের মন্তব্য, ‘‘আগে যা গাইডলাইন ছিল, সেটাই রয়েছে। তবে আমরা কমিশনের দেওয়া কোভিড গাইডলাইন মেনে চলব। প্রচারে অংশ নেওয়া সকলকে মাস্ক পরতে বলা হবে। আমরা আর একটা কথা কমিশনকে জানিয়েছে এপিক কার্ড চেক করা নিয়ে। আমরা কমিশনের নিয়মই দেখিয়েছি কেন্দ্রীয় বাহিনী এপিক কার্ড চেক করতে পারে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।’’ বিজেপি-র তরফে স্বপনের পাশাপাশি ভূপেন্দ্র যাদব এবং শিশির বাজোরিয়াও সর্বদল বৈঠকে হাজির ছিলেন।সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা চাইছি নির্দিষ্ট সূচি মেনেই নির্বাচন হোক। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল একসঙ্গে ভোট করতে চাইছে। কিন্তু আমরা পূর্বের সূচিই মেনে চলার কথা বলেছি। তারপরও বলছি কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে নেব। কমিশনের দেওয়া গাইডলাইন মেনেই আমরা প্রচার করব। কোডিড গাইডলাইনেও কোনও পরিবর্তন করেনি কমিশন। আগেরটাই রয়েছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.