মমতা শুধু সিন্ডিকেট ও কাটমানির সংস্কৃতিকেই বাড়িয়েছেন : অমিত শাহ

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতাকে খোঁচা দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, “মমতা দিদি শুধু সিন্ডিকেট ও কাটমানির সংস্কৃতিকেই বাড়িয়েছেন। কিন্তু, মোদীজী সোনার বাংলা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর।” বঙ্গবাসীকে শাহ আশ্বস্ত করেছেন, ” ২ মে আপনারা বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি করুন। কথা দিচ্ছি সীমানার ওপর থেকে কোনও মানুষ তো কী একটা পাখিও পর্যন্ত বাংলায় প্রবেশ করতে পারবে না।” শুক্রবার নদিয়া জেলার তেহট্টের জনসভায় শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “সবার প্রথমে বাংলার নববর্ষে সবাইকে শুভকামনা জানাই এবং এই নতুন বছর বাংলার সকল মানুষের জন্য যেন শুভ হয়।” এরপরই অমিত শাহ বলেছেন, “অনুপ্রবেশকারীরা এসে যুবকদের রোজগার নিয়ে চলে যায়, গরিবদের চাল নিয়ে চলে যায়, যদি বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের এমন অবস্থা থাকে তাহলে শুধুমাত্র বাংলায় নয় গোটা দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে সংকট আসতে চলেছে।” ‘অনুপ্রবেশ’ সমস্যা নিয়ে জনসভায় উপস্থিত মানুষজনের উদ্দেশে অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, “আপনারাই বলুন অনুপ্রবেশকে আটকানো প্রয়োজন কি-না? এই অনুপ্রবেশকারীরাই বাংলা যুবসমাজের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে, গরিব মানুষের পাওনা চালও তারা নিয়ে চলে যাচ্ছে। ২ মে আপনারা বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি করুন। কথা দিচ্ছি সীমানার ওপর থেকে কোনও মানুষ তো কী একটা পাখিও পর্যন্ত বাংলায় প্রবেশ করতে পারবে না।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, “দিদি বলেন যতদিন আমি আছি মতুয়া সমাজ এবং নমঃশূদ্র সমাজকে নাগরিকত্ব দিতে দেব না। দিদি আপনি আর কতদিন থাকবেন? ২ মে আপনার বিদায় নিশ্চিত, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আসতে চলেছে।..মোদী জি দেশে প্রত্যেক কৃষকের উদ্দেশে ৬ হাজার টাকা করে পাঠান, কিন্তু তিন বছর ধরে সেটা আপনাদের কাছে পৌঁছে দেননি দিদি। কিন্তু, আমি আপনাদের বলছি ২ মে-র পর ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠন হলে, ১৮ হাজার টাকা আপনাদের  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছানোর কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার।”কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে অমিত শাহ বলেছেন, “মোদীজী সমগ্র দেশের কৃষকদের বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা করে পাঠান। কিন্তু বাংলার কৃষকরা এর থেকে বঞ্চিত। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সমস্ত বকেয়া সমেত আপনাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মোদীজী আর্থিক বিকাশ চান।আর দিদি অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করতে চান। এবার আপনারাই নির্ণয় নিন আপনাদের কেমন সরকার চাই!” শাহ আরও বলেছেন, “দিদি ভোটে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি। বাংলায় এখন পরিযায়ী নেতারা আসছেন। চার দফার পর রাজ্যে রাজনৈতিক পর্যটক। ১০ বছরে দিদি শুধু সিন্ডিকেট ও কাটমানির সংস্কৃতিকেই বাড়িয়ে চলেছেন। কিন্তু, মোদীজী সোনার বাংলা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্যকারী দিদিকে চান না-কি  সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখা মোদীজীকে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.