বিজেপির পতাকা হাতে নিলেও দুর্নীতিগ্রস্তরা রেহাই পাবেন না, তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতেই হবে দুর্নীতিগ্রস্ত দল বদলুদের, এমনই মত বিজেপির। আজ তা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত ভোটই শুধু নয়, লোকসভা নির্বাচনেও দল বদলুদের ক্ষেত্রে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।
আজ পুরুলিয়ায় দলীয় একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পরিষ্কার বলেন, “বিজেপির ঝান্ডা ধরে এপারে এলেও বাঁচবে না, ইডি সিবিআই আছে।” বক্তব্যের মধ্যে খানিকটা ছন্দের সুরে তিনি বলেন, “যদি কর চুরি যত বড় হও দিদির ভাই, ধরবে তোমায় সিবিআই।” সেই রেশ ধরেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আর কোনো পচা আম আমরা নেবো না। তৃণমূলের একটা সাংসদ, বিধায়কও সম্পত্তির হিসেব দিতে পারবেন না। কারণ সবটাই দুর্নীতির সম্পত্তি।” দুর্নীতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এই সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে দিয়ে সম্পত্তির হিসেব ঠিক করে নিন। দরজায় সিবিআই, দুয়ারে সিবিআই চলে আসবে এবার। তখন বিজেপি পতাকা ধরলেও বাঁচা যাবে না।” বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে আশ্বস্ত করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা কথা দিচ্ছি দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পাঠাবোই।”
সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যের পর পরই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় সভাস্থলে। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে আলোচনা করতে শোনা যায় যে, তাহলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বেশ কিছু নেতা রয়েছেন। যাঁদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এঁদেরও কি পাশে থাকবে না বিজেপি? এই প্রশ্ন বিজেপির কর্মীদের মধ্যেও। এই বক্তব্যে উজ্জীবিত কিছু বিজেপি কর্মী বলেন, “এটা হলে তো পুরুলিয়া জেলায় দলের ভাব মূর্তি আরও স্বচ্ছ হয়ে যাবে।”
বঙ্গ বিজেপির সভাপতির এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বুথ স্তরের কর্মীদের কাছে। কারণ রাজ্য সভাপতির এই আশ্বস ভোট প্রচারে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলে এক জেলা নেতার দাবি। বিজেপির অন্য এক জেলা নেতার কথায়, “এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। কার্যকর হলে আমাদের দলের বিরুদ্ধে কেউ আঙ্গুল তুলতে পারবে না।”