‘তৃণমূল বাংলায় ৫০টা আসন পাবে না’: শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর মুকুল রায়

অমিত শাহ বাংলায় এসে বলে গিয়েছেন একুশের বিধানসভায় বিজেপি ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে।

তারপর সোমবার সকলে হঠাত্‍ই একটি টুইট করেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাতে তিনি যা চ্যালেঞ্জ করেছেন তা দেখে অনেকেই বলছেন, নিজের পেশাকে পাশার বোর্ডে ফেলে দিয়েছেন পিকে।

কী বলেছেন?

তাঁর কথায়, “বিজেপি দুই অঙ্ক টপকানোর লড়াই করছে। এর থেকে ভাল কিছু হলে এই জায়গা ছেড়ে দেব। টুইটটা সেভ করে রাখুন।”

বুধবার মুকুল রায়ের সল্টলেকের অফিসে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মিনিট চল্লিশ বৈঠক হয় দুজনের। তারপর শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু না বললেও মুকুল রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তখন তিনি বলেন, “তৃণমূল একুশের ভোটে ৫০টি আসন পাবে না।”

অর্থাত্‍ অমিত শাহ যে আগাম অনুমান করে গিয়েছেন তার থেকে আরও কয়েক দাগ উপরে রইল মুকুল রায়ের ভবিষ্যদ্বাণী। রাজ্য রাজনীতির নানান ঘাতপ্রতিঘাত দেখা অনেকে বলেন, প্রয়াত সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের পর বাংলায় যদি ভোটের অঙ্ক বোঝা কেউ থেকে থাকেন তাহলে তিনি মুকুল রায়ই।

এহেন মুকুল রায় যেন এদিন তৃণমূলকে প্রান্তিক শক্তি হিসেবে দেখাতে চাইলেন। পিকে সম্পর্কে তিনি বলেন, “পিকে কে? তৃণমূলের পদাধিকারী না অর্থ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রেখেছেন? কোনওটাই তৃণমূল খোলসা করছে না। সেটা বললে জবাব দিতে সুবিধা হয়।”

২০১৭ সালের শেষ দিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি তাঁকে দল প্রচারে পাঠিয়েছিল ত্রিপুরায়। চার দিনের সফর শেষে এক বিকেলে নিজাম প্যালেসে বসে মুকুলবাবু বললেন, “ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার হবে। বিজেপি, আইপিএফটি মিলিয়ে কম করে ৪২টি আসন পাবে।” দেখা গিয়েছিল বিজেপি জোট উত্তর-পূর্বের ৬০ আসনের রাজ্যটিতে ৪৪টি আসন পেয়েছে!

যদিও তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “লোকসভার পর তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন ছিল। মুকুলবাবু অমিত শাহকে আঙুল দেখিয়ে বলেছিলেন তিনে তিন। কিন্তু দিলীপ ঘোষের খড়গপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ বা করিমপুর সব জায়গায় গো হারা হেরেছিল বিজেপি। ফলে মুকুলবাবুর হিসেব আসলে বাজার গরম করা। উনিও জানেন বিজেপি তিন অঙ্ক ছুঁতে পারবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.