মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দিরের অর্থ খরচ করা হয়েছে ইফতার পার্টিতে, নোটিস পাঠালো হাইকোর্ট

মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দিরের অর্থ অনৈতিকভাবে খরচ করা হয়েছে ইফতার পার্টিতে। আর তার বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার এবং মাতা বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ডকে নোটিস পাঠালো জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট। গত বুধবার ২৬শে আগস্ট, বিচারপতি জাভেদ ইকবাল ওয়ানী এই নোটিস জারি করেন।

গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মীরের কাটরা এলাকার ৫০০ পরিবারের জন্য সেহরি এবং ইফতারের আয়োজন করেছিল মাতা বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ড। মন্দিরের টাকায় সেই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। আর এর বিরুদ্ধেই জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বারিদার সংঘর্ষ কমিটি এবং আরও ৫৪ জন। তাদের দাবি, মন্দিরের অর্থ অনৈতিকভাবে খরচ করছে বোর্ড। এছাড়া, সরকারি বোর্ড দুর্নীতি ও মন্দিরের অর্থের অপব্যবহার করছে, এমনটাও অভিযোগ। সেই মামলায় নোটিস পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে বোর্ড এবং সরকারের কাছে।

প্রসঙ্গত, বারিদার গোষ্ঠী হলো মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। এদের পূর্বপুরুষরা এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এই বারিদাররা মন্দির পরিচালনা করতেন। কিন্তু, ১৯৮৮ সালে ‛Shri Mata Vaishno Devi Shrine Board Act’ পাশ করায় জম্মু-কাশ্মীর সরকার। এই আইনের জোরেই মন্দির নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের অধীনে চলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.