করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়।মহাশক্তিশালী দেশ আমেরিকাও মহা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে চলেছে।
ইউরোপ,আমেরিকা-সহ আক্রান্ত দেশগুলি করোনার কারণ এলকডাউন জারি রেখেছে।শিল্প উৎপাদন বন্ধ।কর্মহীন মানুষের ক্ষুধার্ত দৃষ্টি।পর্বত প্রমাণ আর্থিক ধ্বসে প্রতিটি দেশেরই নাভিশ্বাস অবস্থা।
করোনার উৎপত্তি সম্পর্কে সব দেশই নিশ্চিত চীনই তার গবেষণাগারে এই মারণ জৈবাস্ত্র তৈরি করেছে।মার্কিন রাষ্ট্রপতি তো সরাসরি এটাকে ‘চীনা (China) ভাইরাস‘ নাম দিয়েছেন।
এমন দাবিও উঠতে শুরু করেছে যে,ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলি একজোট হয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।মানবতার এত বড় শত্রুকে কেউই ক্ষমা করতে রাজি নয়।
জাপান ইতিমধ্যেই চীনের সাথে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে।প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বণিক সভাতে বলেই দিয়েছেন,জাপানের (Japan) ব্যবসায়ীরা চীন থেকে যাতে দেশে ফিরে আসেন শিল্প কারখানা নিয়ে।জাপানে ফিরে এসে স্বদেশে কারখানা স্থাপন করলে সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে।প্রধানমন্ত্রী জানান যে,এ-ব্যাপারে অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে ২৪০ মিলিয়ন জাপানী (Japan) ইয়েন।বণিক সভার বৈঠকে উপস্থিত শিল্পপতিরাও শিনজো আবের সাথে সহমত জানিয়েছেন।চীনের যে-দ্রব্য জাপান আমদানি করে,জাপান চাইছে সেই সরবরাহের শৃঙখলটা ভাঙতে।চীনা (China) -নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে।মার্চের সাত তারিখে চীনা রাষ্ট্রপতির জাপান সফর ছিল,যা পূর্বেই বাতিল হয়েছে। ২০২০ সালের অলিম্পিকের আয়োজক দেশ ছিল জাপান।তা-ও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শ্রীআবে খোলাখুলি বলেছেন,”দেশবাসী চীনের জিনিস নিয়ে আতঙ্কিত।একই পথে হাঁটতে চলেছে আমেরিকাও।রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ট ট্রাম্প অতিমারীর শুরু থেকেই চীনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।এমনকি,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের চীন-প্রীতির জন্য ট্রাম্প “হু” (Who) -কে আর্থিক সাহায্য দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।
আমেরিকার “হোয়াইট হাইজের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল“-এর চেয়ারম্যান ল্যারি কুডলো বলেছেন,”চীন (China) থেকে ফিরে স্বদেশের মাটিতে শিল্পপতিরা শিল্প স্থাপন করুন।রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন,” চীন (China) থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়াই আমেরিকার ‘ফাস্ট এজেন্ডা’।
বিশ্বের প্রথম ও তৃতীয় স্থান অধিকারি অর্থনৈতিক শক্তি চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিলে তার প্রভাব কাটাতে চীন আদৌ পারবে কি না তা ভবিষ্যৎ বলবে।তবে চীনের বন্ধু রাষ্ট্রগুলিও চীনকে আর বিশ্বাস করছে না।করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম দিয়ে চীন বন্ধুদের সাহায্য করতে গিয়েও মুখ পুড়িয়েছে।এতই নিম্নমানের সরঞ্জাম পাঠায় যাতে পাকিস্তানের মতো অন্ধ চীন (China) ভক্তও ক্ষুব্ধ।অন্য আরও ত্রিশটি দেশও চীনা (China) সরঞ্জাম নিয়ে আতঙ্কিত।এই পরিস্থিতে ভারত এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় নি।