কোরিয়ান যুদ্ধকে স্টালিন ও মাওসেতুং কিভাবে দেখেছিলেন‚ ও এই যুদ্ধ চীন – সোভিয়েত বন্ধুত্বে কিভাবে প্রভাব ফেলেছিলো‚ তা নিয়ে আলোচনা করেছেন চীনের কোরিয়ান যুদ্ধ সম্পর্কিত ঐতিহাসিক শেন জিহুয়া।
কোরিয়ান যুদ্ধ শুরুর ৭০ তম বার্ষিকীতে,
এই যুদ্ধ চালানোর পেছনে স্টালিন ও মাওয়ের স্বার্থ গুলো পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।
প্রকাশিত রাশিয়ান আর্কাইভ থেকে পাওয়া তথ্য মতে ১৯৫০ সালে স্টালিন কিম ইল সুং কে কোরিয়ার দক্ষিন অংশে আক্রমণ চালানোর জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। এই যুদ্ধের প্রধান দায় তার উপরেই বর্তায়। কিন্তু কেন তিনি এটা করেছেন? ঐতিহাসিকদের মধ্যে এই নিয়ে মতবিরোধ আছে।
এর কারণ কি এটাই যে‚ ডিন অ্যাচিসন ১২ই জানুয়ারী ১৯৫০ সালের ভাষণে আমেরিকার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে কোরিয়াকে বাদ দিয়েছিলেন? বা স্টালিন কি পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে চীনা কমিউনিস্ট আন্দোলনের আদলে সশস্ত্র সংগ্রাম ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন? যাতে আমেরিকা এই অঞ্চল ত্যাগে বাধ্য হয় ও সোভিয়েত একাধিপত্য প্রতিষ্টিত হয়?
যদি তাই হয় তবে স্টালিন কেন ১৯৫০ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে তাইওয়ান দখলের জন্যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রচেষ্টায় সাহায্য প্রদান বন্ধ করেন ? বিশেষত মস্কো যখন সাহায্য করার জন্য প্রায় প্রস্তুতই ছিলো। আর কেনই বা তিনি কিম কে যুদ্ধ শুরু করার জন্য নির্দেশ দিলেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে স্টালিন যেসব সিদ্ধান্ত নিতেন‚ তা সবসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বার্থ মাথায় রেখেই নিতেন। চীনের স্বার্থ বা উত্তর কোরিয়ার আগ্রহ‚ এসব কিছুই তার গণনায় ছিলো না।
আমার মতে, আসল বিষয় ছিলো লুশুন (পোর্ট আর্থার) এবং চীনের ইস্টার্ন রেলওয়ে (সিইআর)! এই দুটোই ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রশান্ত মহাসাগরে ঢোকার জন্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দূর প্রাচ্যের সোভিয়েত সুরক্ষা কৌশলের জন্যে এর গুরুত্ব ছিলো অসীম।
এখানে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে মাওয়ের মস্কো সফরের মাঝামাঝি সময়েই স্টালিন কিমের যুদ্ধ পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিলেন। এই সফরে মাওসেতুং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো‚ একটি নতুন চীন-সোভিয়েত চুক্তি স্বাক্ষর করা, যা লসুন এবং সিইআর-এর উপরে চীনকে তার সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব দাবী করার অনুমতি দেবে।
কিন্তু স্টালিন তা চায়নি। তার ভয় ছিলো যে এর ফলে লসুন এবং সিইআরে সোভিয়েত স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। ১৯৫০ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে, মাওয়ের অবিরাম চাপের ফলে স্ট্যালিন চুক্তি সাক্ষরে রাজিও হয়ে যান। জানুয়ারির শেষের দিকে, এই চুক্তি নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়।
২৬শে জানুয়ারী স্ট্যালিনের লেফটেন্যান্টরা
লশুন এবং সিইআরে সোভিয়েত স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়‚ কিন্তু মাওসেতুং তা পত্রপাঠ বাতিল করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে সমঝোতা হিসাবে চৌ এন লাই প্রস্তাব দেয় যে‚চুক্তি স্বাক্ষরের তিন বছর পর চীন আবার এই এলাকা গুলো দাবি করবে।
অবশেষে জানুয়ারির ২৮ তারিখে মস্কো চীনের প্রস্তাবটিকে “নীতিগতভাবে” স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তাতে একটা নতুন ধারা যুক্ত করে যে‚ চীন বা সোভিয়েত ইউনিয়ন এশিয়াতে কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে সোভিয়েত ইউনিয়ন লশুন এবং সিইআর ব্যবহার করতে পারবে। মাওসেতুং এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। সুতরাং, এর ফলে পূর্ব এশিয়ায় যদি কোনও যুদ্ধ বাঁধতো, সোভিয়েতরা তখন লাসুন এবং সিইআর উভয়ই ব্যবহার করতে পারতো। কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে সোভিয়েতরা লশুনকে ব্যবহার করতে থাকে। স্তালিনের ইচ্ছা স্বার্থক হয়। এর ফলেই দূর প্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
আমার মতে এটাই ছিলো কিম কে ৩০শে জানুয়ারি‚ ১৯৫০ এ দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণে স্টালিনের সমর্থন দেওয়ার আসল কারণ।
কোরিয়াতে মাওসেতুং এর হস্তক্ষেপ করার
কারণ গুলো ছিলো আরও জটিল।সমাজতান্ত্রিক শিবিরের (বিশেষত উত্তর কোরিয়া) জন্যে চীনের দায়িত্ব তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। আমেরিকার সপ্তম নৌবহর তাইওয়ান প্রণালীতে পাঠানো হলে মাও ক্ষুব্ধ হন। চীনের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের সুরক্ষা সম্পর্কে তিনি খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাই চীন-সোভিয়েত বন্ধুত্বকে আরো জোরদার করতে তিনি সচেষ্ট হন। যাতে চীনে সিসিপি’র নতুন শাসনকে আরও সুসংহত করা যায়।
মাওয়ের তাইওয়ান দখলের কর্মসূচিতে আমেরিকা বাঁধা দেওয়ার অর্থ তার কাছে ছিলো চীন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার সমান। ১৯৫০ সালের সেপ্টেম্বরে ইনচন অবতরণের আগে, তিনি কিমকে যুদ্ধে জেতায় সহায়তা করার জন্য‚ কোরিয়ান পিপলস আর্মি ইউনিট হিসাবে চীনা সেনাদের ছদ্মবেশে কোরিয়ায় পাঠানোর কথা ভেবেছিলেন। এর ফলে পূর্ব এশিয়ায় চীনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে‚ সিসিপি আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারবে‚ এবং চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরক্ষা সম্পর্কে বিপদও দূর হবে। কোরিয়ার যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়াও চীনের পক্ষে অনুকূল ছিলো। তবে স্টালিন এই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন।
ইনচনের পরে উত্তর কোরিয়ার সেনারা অবরোধের মধ্যে পড়ে। যদি চীনা সেনারা সেই সময়ে যুদ্ধে প্রবেশ করতো‚ তবে একদিকে যেমন কোরিয়ান দের মনোবল বাড়তো‚ তেমনি অন্যদিকে জাতিসংঘ বা মার্কিন বাহিনীও ৩৮ ডিগ্রী প্যারালাল অতিক্রম করতে বাধা পেতো। এই প্রস্তাবও স্টালিন বাতিল করে দেন।
অক্টোবরের গোড়ার দিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে এবং জাতিসংঘ বা মার্কিন বাহিনী ৩৮ ডিগ্রী প্যারালাল অতিক্রম করে। এই যুদ্ধে তখন চীনের যোগদান আমেরিকার সাথে সরাসরি সংঘর্ষের চেহারা নিতে পারতো। বেইজিংয়ের বেশিরভাগ নেতারা কোরিয়ায় সৈন্য প্রেরণের বিষয়ে বিরোধিতা করে।
কিন্তু এশিয়ার কমিউনিস্ট শিবিরের নেতা হিসাবে ও চীনের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য মাওসেতুং চীনের কর্তব্যকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি চীনকে অস্ত্র ও বিমান সরবরাহের সোভিয়েত প্রতিশ্রুতিকেও বিবেচনার মধ্যে রাখেন। কোরিয়ার যুদ্ধে রাজি করানোর জন্য বেইজিংয়ের অন্যান্য নেতাদের সামনে মাও এই বিষয়গুলি তুলে ধরেন।
বিমান সরবরাহ করা নিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি স্টালিন ফিরিয়ে নিলে মাও বাজে অবস্থায় পড়ে যায়। কিন্তু কোরিয়াতে সৈন্য পাঠানো নিয়ে মাও বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন যে স্টালিন সত্যি সত্যিই কোরিয়াকে হারাতে চায় না। যদি চীনা কমিউনিস্টরা কিমকে তার শাসন ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়‚ তবে তারা স্টালিনের বিশ্বাস হারাবে। কিন্তু স্টালিনের বরাভয় ছিলো নতুন পাওয়া শাসনব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বেইজিং ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনকে শত্রু বানিয়ে ফেলেছিলো। এখন মস্কোকেও যদি বন্ধু হিসাবে হারাতে হয় তবে তা হতো অন্যতম অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার! মাও আরো বুঝেছিলেন যে‚ কোরিয়ায় ঢোকার পর চীনা সেনারা যদি প্রতিরক্ষা বজায় রাখতে অয়ারে আর সোভিয়েত বিমান ও সামরিক সাহায্যের অপেক্ষায় থাকতে পারে‚ তবে আমেরিকার সাথে যুদ্ধের ঝুঁকি অনেক টাই কমে যাবে।
উপরের পুরো বিষয়টা ছিলো মাও এবং স্টালিনের মধ্যে একটা স্নায়বিক খেলা। ইতিহাস দেখিয়েছে যে মাও সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কোরিয়ান যুদ্ধে প্রবেশের ব্যাপারে চিনের সিদ্ধান্ত স্টালিনকে এটা বোঝাতে পেরেছিলো যে‚ মাও এবং তাঁর সহযোগীরা “প্রকৃতপক্ষেই আন্তর্জাতিকতাবাদী কমিউনিস্ট”। চীন সেনাবাহিনী ইয়ালু নদী পেরোনোর অল্প সময়ের পরে, স্ট্যালিন সোভিয়েত বিমান বাহিনীকে চীনা সরবরাহের লাইনগুলি রক্ষার জন্য সাহায্য করার আদেশ দিয়েছিল। এরপরে চীনে প্রচুর পরিমাণ সোভিয়েত সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা আসে।
গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছিল যে কোরিয়ার যুদ্ধে
চীনের লজিস্টিকাল চাহিদা পূরণ করা হবে। এবং আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্যও চীনকে সাহায্য করা হবে।
যখন চীনা সেনারা সাফল্যের সাথে শত্রু বাহিনীকে ৩৮ ডিগ্রী প্যারালাল পার করে দেয়‚ উত্তর কোরিয়া হয়ে দাঁড়ায় চীনের নিরাপত্তার জন্যে একটি বাফার অঞ্চল।
এই সবকিছুই চীন-সোভিয়েত জোটের ভিত্তি ও চীনে কমিউনিস্ট পার্টির নতুন শাসনব্যবস্থাকে জোরদার করে।
তবে সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চীনের প্রতি স্টালিনের সন্দেহ মাও কখনোই ভোলেননি। যদিও সেই মূহুর্তে কোরিয়ার সংকট চীন ও সোভিয়েতকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসে‚ তবে এক দশক পরে চীন-সোভিয়েত বিরোধের ভিত এখানেই রোপন করা হয়েছিলো।
China’s leading historian of the Korean War, Shen Zhihua, explains how Stalin and Mao saw the conflict on the Korean Peninsula and the lasting implications of the war for the Sino-Soviet alliance.
On the 70th anniversary of the start of the Korean War, I would like to revisit Stalin’s and Mao’s motivations in their management of this conflict.
As revealed by declassified Russian archives, it was Stalin who, by offering Kim Il Sung in late January 1950 the “green light” to attack the South, was ultimately responsible for the outbreak of the war. Why did Stalin do so? Opinions of scholars differ.
Was this solely because of Dean Acheson’s 12 January 1950 speech excluding Korea from US western Pacific defense perimeter? Or was this just because Stalin intended to bog down the United State in a war quagmire in East Asia, while spreading the Chinese Communist experience of seizing political power via armed struggles to other parts of East Asia? If indeed the above were all the reasons, why did Stalin, in late January 1950, suddenly abandon Moscow’s backing of the Chinese Communist plan of “liberating Taiwan,” which he already was prepared to support? And why did he inspire Kim to launch the war in Korea in such a hurry?
To answer these questions, we must remember that Stalin made decisions always to serve the Soviet Union’s strategic interests. He would never make a decision solely to promote China’s interest or to help North Korea.
The key, in my opinion, lay in Lüshun (Port Arthur) and the China Eastern Railway (CER). Both were of critical importance for the Soviet Union’s access to the Pacific Ocean, a consideration that had long occupied a central position in Russian and Soviet security strategies in the Far East.
Thus it is important to note that Stalin endorsed Kim’s war plan in the middle of Mao’s visit to Moscow. At the top of Mao’s wish list for his Soviet visit was to sign a new Sino-Soviet treaty of alliance, which, Mao hoped, would also allow China to reclaim its full sovereignty over Lüshun and CER.
Upon Mao’s arrival in Moscow, Stalin initially showed no interest in signing a new treaty with China, in part because he feared that this would deprive Moscow of the privileges to use Lüshun and CER. In early January 1950, Stalin yielded to Mao’s persistent push and agreed to sign a new treaty. By late January, the negotiations for the details of the treaty had reached a crucial stage. Stalin’s lieutenants, on January 26, proposed signing the treaty while keeping Soviet privileges of accessing Lüshun and CER, which Mao rejected immediately. As a compromise, Zhou Enlai proposed that China would reclaim Lüshun and CER in three years after treaty’s signing.
On January 28, Moscow accepted the Chinese proposal “in principle,” but added a new clause: the Soviet Union might share the use of Lüshun and CER if either China or the Soviet Union was involved in a war in Asia. The Chinese agreed to this clause.
So, if a war occurred in East Asia, the Soviets would continuously be able to use both Lüshun and CER. When the Korean War broke out, the Soviets indeed kept the rights to use Lüshun. Stalin got what he wanted.
This, in my opinion, was the most important reason why Stalin endorsed Kim’s plan to attack the South on January 30, 1950. This, most likely, would cause a war to occur in the Far East.
Mao’s motivations to intervene in Korea were much more complex. He saw China’s responsibilities for the socialist camp (especially for North Korea). He was enraged that US Seventh Fleet had been sent into the Taiwan Strait. He was very concerned about the safety of China’s northeastern borders. Last but not least, he wanted to enhance the Sino-Soviet alliance, so as to consolidate the CCP’s new regime in China.
For Mao, Washington’s blocking of his plan to “liberate Taiwan” meant that a war between China and America had already begun. Before the Inchon landing in September 1950, he thought of sending Chinese troops to Korea, disguised as Korean Peoples’ Army units, to help Kim to win the war. This would eliminate the security threats to China’s northeast while, at the same time, strengthening China’s position in East Asia and allowing the CCP to concentrate on domestic reconstruction. It was also a low-risk way, from a Chinese perspective, to bring the Korean War to a speedy end. Yet this scheme was blocked by Stalin.
After Inchon, North Korean troops were under siege. If Chinese troops were to enter the war immediately, North Korean morale would be boosted and the UN/US forces would be prevented from crossing the 38th parallel. This, however, was again rejected by Stalin.
By early October, the North Korean resistance had collapsed and the UN/US forces had crossed the 38th parallel. China’s entry into war might result in a direct confrontation with the United States. Most leaders in Beijing thus had reservations about, or even opposition to, sending troops to Korea.
However, Mao underscored China’s duty as the leader of Asian revolutions and the need to extinguish the threat to China’s border security. Further, he counted upon Moscow’s promise that it would provide China with weapons and air support. Mao invoked all this to persuade other leaders in Beijing to make the decision to enter the Korean War.
Stalin’s reneging on his promise of Soviet air support, even if it meant giving up North Korea, put Mao in an awkward position. But Mao remained determined to send troops to Korea. He realized that Stalin did not really mean to abandon North Korea. If the Chinese Communists failed to come to the rescue of Kim’s regime, they would totally lose Stalin’s trust, which was crucial for them to consolidate their new regime. Beijing had already made an enemy of Washington; if it were to lose Moscow as an ally, it would have been placed in a most undesirable position. Mao also calculated that if Chinese troops, after entering Korea, could maintain a defensive posture and await Soviet military and air support, then China would be able to reduce the risk of fighting a war with the Americans to the minimum.
All of the above essentially was a psychological contest between Mao and Stalin. History’s later developments have shown that Mao made a correct decision based upon accurate judgment. China’s decision to enter the Korean War played a decisive role in convincing Stalin that Mao and his comrades were “genuine internationalist Communists.” Shortly after Chinese troops crossed the Yalu River, Stalin ordered the Soviet air force to help defend the Chinese supply lines. Thereafter, Soviet military and economic assistance poured into China, guaranteeing that Chinese logistical needs in Korea would be met while significantly enhancing China’s overall capacity for domestic economic reconstruction. When Chinese troops successfully drove the enemy forces back to the 38th parallel, North Korea became a security buffer for China. All of this substantially strengthened the foundation of the Sino-Soviet alliance, as well as the CCP’s new regime in China.
However, Mao never forgot Stalin’s suspicion of the Chinese at so critical and historic a moment. Though the Chinese experience in managing the Korean crisis bridged Sino-Soviet differences for the moment, it sowed the seeds for the Sino-Soviet split a decade later.