হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুর্নবিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। কিন্তু
পঞ্চমীর দিন সকালেই খারিজ হয়ে গেল তাদের সেই রিভিউ পিটিশনের আবেদন। উলটে আরও কিছু বাড়তি নিয়ম ঘোষণা করল হাইকোর্ট। তার মধ্যে একদিকে যেমন ‘নো এন্ট্রি জোন’ এ ঢাকিদের ঢাক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই অঞ্জলি এবং সিঁদুরখেলায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
বুধবারের শুনানি অনুযায়ী, মণ্ডপের সামনে ‘নো এন্ট্রি জোন’ বজায় থাকছে। সেখানে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে করোনাভাইরাস বিধি সেখানে ঢাকিদের থাকার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। মাস্ক পরে থাকার পাশাপাশি তাঁদেরও নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া আগের নির্দেশমতো প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড দিতে হবে। ছোটো মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই ব্যারিকেডের দূরত্ব হবে ১০ মিটার।
তবে নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। আগে ২৫ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে ছোটো মণ্ডপে (৩০০ বর্গমিটারের কম) ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এছাড়াও উদ্যোক্তারা ছাড়াও স্থানীয়রা মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। তবে প্রতিদিন ৮ টার মধ্যে কারা কারা মণ্ডপে ঢুকবেন, তার তালিকা প্রস্তুত করে নিতে হবে। আগের নির্দেশ থেকে এই নির্দেশে এই পরিবর্তন জারি করল হাইকোর্ট।