দলীয় মিটিং করার বিজেপি সভাপতি এবং কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলা পূর্বাঞ্চল এলাকায়।

জানাগেছে, কাল রাত সাতটা নাগাদ বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া মিটিং করছিলেন বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে। জেলা সভাপতি কিশোর করের গাড়ির চালককে মারধর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। চালকই ফোন করে কিশোরবাবুকে জানান দুষ্কৃতিরা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। সঙ্গে সঙ্গে কিশোরবাবু ঘোলা থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। ২০ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। কিন্তু তার আগেই দুই বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামালা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুষ্কৃতিদের সরিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্ধার করে।

এরপর কিশোর কর কর্মীদের নিয়ে ঘোলা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। অভিযোগ, সেখানেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা হামলা চালায়। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা ঘোলা–মধ্যমগ্রাম রোড অবরোধ করে। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে কমপক্ষে চার রাউন্ড গুলি চালায়। পরিতোষ বিশ্বাস নামে এক বিজেপি কর্মীর পায়ে গুলি লাগে। এরপর অবস্থা সামাল দিতে র্যাফ নামানো হয়।
গুলিবিদ্ধ পরিতো বিশ্বাসকে প্রথমে সাগর দত্ত স্টেট জেনারেল হাপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে অপারেশন করে তাঁর পা থেকে গুলি বের করা হবে।
রাতের বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত জনাদশেক। এলাকায় উত্তজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে।
