সফরের সময় ট্রেন লেট হলে রেল যাত্রীদের চরম সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়। বিশেষ করে শীতের দিনে কুয়াশার কারণে উত্তর ভারতের অনেক শহরে যাতায়াত করা ট্রেন বেশিরভাগ সময় লেট হয়ে যায়। ট্রেনের এই দেরীর কারণে অনেক সময় ট্রেন বাতিলও করতে হয়। কিন্তু এই বছর যাত্রীদের সমস্যা দূর করার জন্য রেলওয়ে আগে থেকেই ব্যাবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।

ভারতীয় রেল এবার কুয়াশার মধ্যে ট্রেন লেট হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য ইসরো স্যাটেলাইটের সাহাজ্য নেবে। পূর্ব মধ্য রেলের সিপিআরও রাজেশ কুমার বলেন, ভারতীয় রেল ইসরোর সাহাজ্য নিয়ে রিয়েল টাইম ফ্রেম ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সমস্ত ট্রেনের মনিটরিং শুরু করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে শুধু রেল না, যাত্রী আর তাঁদের পরিজনেরা জানতে পারবে যে তাঁদের ট্রেন কোথায় আছে। আর এটাও জানতে পারবে যে ট্রেন কখন গন্তব্য স্থলে পৌঁছাবে।
পূর্ব মধ্য রেলওয়ের সিপিআরও রাজেশ কুমার বলেন, রেলওয়ে এইবার কুয়াশার কারণে হওয়া দুর্ঘটনা থামানোর জন্য ইঞ্জিন চালকদের ফগ সেফটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এই ডিভাইস ঘন কুয়াশার মধ্যেও ট্রেনের রাস্তায় থাকা সিগন্যাল আর গেটের স্থিতির সূচনা দিতে থাকবে। সিপিআরও বলেন, যেহেতু এখন সমস্ত সিগন্যাল এলইডি করে দেওয়া হয়েছে, এরজন্য এই লাইট অনেক দূর থেকেও দেখা যেতে পারবে। যদি ঘন কুয়াশার মধ্যে ঘন কুশায়ার মধ্যে সিগন্যাল না দেখা যায় তাহলে এই ডিভাইস ইঞ্জিন ড্রাইভাইরদের সূচিত করে দেবে। এছাড়াও শীতের দিনে লাইনে ফাটল ধরার ঘটনাও ঘটে। সিপিআরও বলেন, শীতের দিনে রেলকর্মীরা টর্চ নিয়ে নিরীক্ষণ করবে। ওই রেলকর্মী গুলো জিপিএস সিস্টেমের সাথে যুক্ত থাকবে। আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, রেলকর্মীরা মনিটরিং এর সাথে সাথে যেন রেল লাইনের নিরীক্ষণ এর কাজও করতে থাকে।

একদিকে রেল যখন শীতের দিনে ট্রেনকে লেট হওয়া থেকে বাঁচাতে চাইছে। তখন আরেকদিকে এটাও চেষ্টা করা হচ্ছে যে, রেল যাত্রীরাও যেন সুরক্ষিত থাকে। তবে শুধু সুরক্ষাই না, রেলকে আরও সুন্দর এবং স্বচ্ছ বানানোর জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে রেলের আধিকারিকরা। ট্রেনের ভিতরে পরিচ্ছন্নতা এবং রেলওয়ে স্টেশনের স্বচ্ছতার দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে রেল।