এবারের বাজেটে বিশেষ চমক হল বাজেটে সোশ্যাল স্টক এক্সচেঞ্জ খোলার কথা বলা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন শুক্রবার বাজেট বক্তৃতায় জানান, বহু স্বেচ্ছাসেবী এবং সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা বাজার থেকে ঋণপত্র, শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবে৷ সেবির নিয়ন্ত্রণেই তা করা হবে৷
মন্ত্রী আশা করছেন, এরফলে আরও বেশি করে মানুষের মূলধনী বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে৷
বিভিন্ন দেশে এই রকম সোশ্যাল স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে ৷ ব্রিটেন কানাডা সিঙ্গাপুর ব্রাজিল জামাইকার দেশে সোশ্যাল স্টক এক্সচেঞ্জের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়৷ তবে বাজেটে এমন নজিরবিহীন প্রস্তাব রাখায় তাকে স্বাগত জানালেও এই উদ্যোগ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়েও অবশ্য সংশয় রয়েছে বিভিন্ন মহলে৷
তবে এমন উদ্যোগের পিছনে একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ প্রথম মোদী সরকারের আমলে ( ২০১৪-১৯ সালে) দেশজুড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উপর রীতিমতো নজরদারি চালিয়েছে এই সরকার৷ এফসিআরএ আইন লঙ্ঘমের জন্য গত কয়েক বছরে প্রায় কুড়ি হাজার সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে৷
আয়কর রিটার্নে নানা রকম অসঙ্গতির প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের সংস্থার বিরুদ্ধে ৷ কারণ এই সব সংস্থা যেভাবে বিদেশি অর্থ সংগ্রহ করে তার উৎস জানতে এবারে আরও তৎপর হতে চাইছে সরকার বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আর তারই জন্য সোশ্যাল স্টক এক্সচেঞ্জ খোলার উদ্যোগ৷